পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় & e & মাটির কণ্ঠে যেখানে অভয় মিথ্য ভাষায় রটে, সেথা ভিড় করে যত লোকালয় ভাঙন-লুকানো তটে । মুখরিত হয় স্থিতিভিক্ষার বন্দনাধবনি সেথা বার বার, কল্পিত করে প্রার্থনা তার শিল্পিত মন্দিরে প্রবাসীতে উক্ত কবিতার চতুর্থ স্তবকের পর ( সেঁজুতি'র পাঠে তৃতীয় স্তবকের পর ) নিম্নমুদ্রিত একটি সম্পূর্ণ নূতন স্তবক পাওয়া যায়— উধাও বাতাসে মেঘ ভেসে আসে বহিয়া রঙিন ছায়া । তোমারি ছন্দে রচিছে আকাশে ক্ষণিকের চিরমায়া । বনের প্রবাহ তব তীরে তীরে সবুজ পাতার বন্যার নীরে কভু ঝড়ে কভু শাস্ত সমীরে তোমারি ছন্দ যাচে । তোমারি ছন্দে পাখির ওড়া সে, তোমারি ছন্দে ফুল ফোটে ঘাসে, অনিত্য তারা তব ইতিহাসে নিত্য নাচনে নাচে । ‘তীর্থযাত্ৰিণী’ কবিতাটির উপসংহারে প্রবাসীতে (অগ্রহায়ণ ১৩৪৪ ) এই দুইটি অতিরিক্ত পঙক্তি মুদ্রিত হইয়াছিল— সংসারে মরীচিকারে বিশ্বাস করিয়াছিল ও যে, সংসার বাহির-তীরে পুন ফিরে তারি ব্যর্থ খোজে। জন্মদিন কবিতাটির চতুর্থ স্তবকের পরে প্রবাসীতে ( আষাঢ় ১৩৪৪ ) এই বর্জিত স্তবকটি পাওয়া যায়— আজ কেন ওর মনে লাগে, এবার যাত্রাশেষে নেীকে আবার পাড়ি দিল অারেক ছুটির দেশে ।