পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেঁজুতি ওদের আপন ক্ষুদ্র প্রাণের শিখা ঘে আলো দেয় এক, পূর্ণ ইতিহাসের মূর্তি যায় না তাহে দেখা। এই পৃথিবীর প্রান্ত হতে বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি জেনেছে আজ তারার বক্ষে উজ্জালিত স্থষ্টি উন্মথিত বহিসিন্ধু-প্লাবননিঝরে কোটিযোজন দূরত্বেরে নিত্য লেহন করে। কিন্তু এই-যে এই মুহূর্তে বেদন-হোমানল আলোড়িছে বিপুল চিত্ততল বিশ্বধারায় দেশে-দেশাস্তরে লক্ষ লক্ষ ঘরে – আলোক তাহার, দাহন তাহার, তাহার প্রদক্ষিণ যে অদৃশ্ব কেন্দ্র ঘিরে চলছে রাত্রিদিন তাহা মর্তজনের কাছে শাস্ত হয়ে স্তব্ধ হয়ে আছে। যেমন শাস্ত যেমন স্তন্ধ দেখায় মুগ্ধ চোখে বিরামহীন জ্যোতির ঝঞ্চ। নক্ষত্র-আলোকে । আলমোড়া জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৪৪ ঘরছাড়া তখন একটা রাত— উঠেছে সে তড়বড়ি, কাচা ঘুম ভেঙে। শিয়রেতে ঘড়ি কর্কশ সংকেত দিল নির্মম ধ্বনিতে । অভ্রানের শীতে এ বাসার মেয়াদের শেষে যেতে হবে আত্মীয়পরশহীন দেশে 8వ