পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেঁজুতি উধের্ব কালো আকাশের ফাক বাট দিয়ে চলে গেল বাজুড়ের পাখা । যেন সে নির্মম অনিশ্চিত-পানে-ধাওয়া অদৃষ্টের প্রেতচ্ছায়াসম । বৃদ্ধবট মন্দিরের ধারে, অজগর-অন্ধকার গিলিয়াছে তারে । সদ্য-মাটি-কাটা পুকুরের পাড়ি-ধারে বাসা বাধা মজুরের খেজুরের পাতা-ছাওয়া— ক্ষীণ আলো করে মিটমিট্‌, পাশে ভেঙে পড়া পাজা । তলায় ছড়ানো তার ইট। রজনীর মসীলিপ্তিমাঝে লুপ্তরেখা সংসারের ছবি— ধান-কাটা কাজে সারাবেল চাষীর ব্যস্ততা ; গলা-ধরাধরি কথা মেয়েদের ; ছুটি-পাওয়া ছেলেদের ধেয়ে যাওয়া হৈহৈ রবে ; হাটবারে ভোরবেলা বস্তা-বহা গোরুটাকে তাড়া দিয়ে ঠেলা ; অঁাকড়িয়া মহিষের গলা ও পারে মাঠের পানে রাখাল ছেলের ভেসে চলা । নিত্যজানা সংসারের প্রাণলীলা না উঠিতে ফুটে যাত্রী লয়ে অন্ধকারে গাড়ি যায় ছুটে । যেতে যেতে পথপাশে পানাপুকুরের গন্ধ আসে, সেই গন্ধে পায় মন বহুদিনরজনীর সকরুণ স্নিগ্ধ আলিঙ্গন । আঁকাবাক গলি রেলের স্টেশনপথে গেছে চলি ; & S