নবীন
হে মাধবী, দ্বিধা কেন— আসিবে কি ফিরিবে কি—
আঙিনাতে বাহিরিতে মন কেন গেল ঠেকি ।
বাতাসে লুকায়ে থেকে কে-যে তোরে গেছে ডেকে,
পাতায় পাতায় তোরে পত্র সে-যে গেছে লেখি ।
কখন দখিন হতে কে দিল দুয়ার ঠেলি,
চমকি উঠিল জাগি চামেলি নয়ন মেলি।
বকুল পেয়েছে ছাড়া, করবী দিয়েছে সাড়া,
শিরীষ শিহরি উঠে দূর হতে কারে দেখি ।
তুমি কোন ভাঙনের পথে এলে স্বপ্ত রাতে, আমার ভাঙল যা তাই ধন্য হল চরণপাতে।
নন্দিনী, ওই দেখে নাও শিশুর লীলা, ওই-যে কচি কিশলয়—
খ্যামল কোমল চিকন রূপের নবীন শোভা— দেখে যা—
কল-উতরোল চঞ্চলদোল ওই-যে বোবা ।
শিশু হয়ে এসেছে চিরনবীন, কিশলয়ে তার ছেলেখেলা জমাবার জন্যে । হয়ে তার সঙ্গে যোগ দিল ওই সূর্যের অালো, সেও সাজল শিশু, সারাবেলা সে কেবল ঝিকিমিকি করছে। সেই তো তার কলপ্রলাপ । ওদের নাচে নাচে মুখরিত হয়ে উঠল প্রাণগীতিকার প্রথম ধুয়োটি ।
ওরা অকারণে চঞ্চল । ডালে ডালে দোলে বায়ুহিল্লোলে
নবপল্লবদল । ছড়ায়ে ছড়ায়ে ঝিকিমিকি আলো দিকে দিকে ওরা কী খেলা খেলালো— মর্মরতানে প্রাণে ওরা আনে
কৈশোরকোলাহল।
૧૭
দোসর
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৩
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
