এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
So o রবীন্দ্র-রচনাবলী
অনন্ত বাসর-স্থখ যেন
নিত্য-হাসি প্রকৃতি-বধুর, পুষ্প যেন চিরপ্রাণ, পাখির অশ্রান্ত গান,
বিশ্ব করেছিল ভান অনস্ত মধুর ।
সেই গানে, সেই ফুল্ল ফুলে,
সেই প্রাতে, প্রথম যৌবনে,
ভেবেছিন্থ এ হৃদয় अनस्त्र अश्रुज्रधम्न
প্রেম চিরদিন রয় এ চিরজীবনে ।
তাই সেই আশার উল্লাসে
মুখ তুলে চেয়েছিহু মুখে । কুধাপাত্র লয়ে হাতে কিরণ-কিরীট মাথে
তরুণ দেবতাসম দাড়াহু সম্মুখে ।
পত্রপুষ্প-গ্ৰহতারা-ভর
নীলম্বিরে মগ্ন চরাচর, তুমি তারি মাঝখানে কী মূর্তি আঁকিলে প্রাণে,
কী ললাট, কী নয়ন, কী শাস্ত অধর ।
স্বগভীর কলধ্বনিময়
এ বিশ্বের রহস্ত অকুল, মাঝে তুমি শতদল ফুটেছিলে ঢলঢল, তীরে আমি দাড়াইয়া সৌরভে আকুল ।
পরিপূর্ণ পূর্ণিমার মাঝে
উধ্ব মুখে চকোর যেমন আকাশের ধারে যায়, ছিড়িয়া দেখিতে চায়
অগাধ স্বপন-ছাওয়া জ্যোৎক্ষণ-আবরণ।