পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

}จ8 রবীন্দ্র-রচনাবলী শূন্য গৃহে কে তুমি দিয়েছ স্নেহ মানব-হৃদয়ে, কে তুমি দিয়েছ প্রিয়জন । বিরহের অন্ধকারে কে তুমি কাদাও তারে, তুমিও কেন গো সাথে কর না ক্ৰন্দন । প্রাণ যাহা চায় তাহা দাও বা না দাও, তা বলে কি করুণা পাব না ? দুর্লভ ধনের তরে শিশু কাদে সকাতরে, তা বলে কি জননীর বাজে না বেদনা ? দুর্বল মানব-হিয়া বিদীর্ণ যেখায়, মৰ্মভেদী যন্ত্রণা বিযম, জীবন নির্তরহারা ধুলায় লুটায়ে সারা, সেথাও কেন গো তব কঠিন নিয়ম। সেখাও জগৎ তব চিরমৌনী কেন, নাহি দেয় আশ্বাসের স্থখ । ছিন্ন করি আস্তরাল অসীম রহস্তজাল কেন না প্রকাশ পায় গুপ্ত স্নেহমুখ! ধরণী জননী কেন বলিয়া উঠে না —করুণ মর্মর কণ্ঠস্বর— “আমি শুধু ধূলি নই, বখস, আমি প্রাণময়ী জননী, তোদের লাগি অন্তর কাতর। “নহ তুমি পরিত্যক্ত অনাথ সন্তান চরাচর নিখিলের মাঝে ; তোমার ব্যাকুল স্বর উঠিছে আকাশ পর, তারায় তারায় তার ব্যথা গিয়ে বাজে।”