পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌন্দর্ষের আদিস্মৃষ্টি ; সেখা কে পারিত লয়ে যেতে, তুমি ছাড়া, করি অবারিত লক্ষ্মীর বিলাসপুরী—অমর ভুবনে । অনন্ত বসন্তে যেথা নিত্য পুষ্পবনে নিত্য চন্দ্রালোকে, ইন্দ্ৰনীল শৈলমূলে স্ববর্ণসরোজফুল্ল সরোবরকুলে মণিহর্ম্যে অসীম সম্পদে নিমগনা কাদিতেছে একাকিনী বিরহবেদনা। মুক্ত বাতায়ন হতে যায় তারে দেখা শয্যাপ্রাস্তে লীনতকু ক্ষীণ শশিরেখা পূর্বগগনের মূলে যেন অস্তপ্রায় । কবি, তব মন্ত্রে আজি মুক্ত হয়ে যায় রুদ্ধ এই হৃদয়ের বন্ধনের ব্যথা ; লভিয়াছি বিরহের স্বৰ্গলোক, যেথা চিরনিশি যাপিতেছে বিরহিণী প্রিয়া অন স্ত সৌন্দর্ধমাঝে একাকী জাগিয়া । আবার হারায়ে যায় ;– হেরি চারি ধার বৃষ্টি পড়ে অবিশ্রাম ; ঘনায়ে আঁধার আসিছে নির্জন নিশা ; প্রাস্তরের শেষে কেঁদে চলিয়াছে বায়ু অকুল উদ্দেশে । ভাবিতেছি অধরাত্রি অনিদ্র-নয়ান, কে দিয়েছে হেন শাপ, কেন ব্যবধান ? কেন উধের চেয়ে কাদে রুদ্ধ মনোরথ ? কেন প্রেম আপনার নাহি পায় পথ ? সশরীরে কোন নর গেছে সেইখানে, মানস-সরসী তীরে বিরহ-শয়ানে, রবিহীন মণিদীপ্ত প্রদোষের দেশে জগতের নদীগিরি সকলের শেষে । শাস্তিনিকেতন टैंखार्छ, 2Եծ e "לור অপরছে. স্বনবর্ষায়