পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

છ૧૭ রবীন্দ্র-রচনাবলী ছেলেটি তাহার অতি ছোটো দুইখানি ঠোট একটুখানি খুলিয়া গভীরভাবে দিদির কথার প্রতিধ্বনির মতো বলিল, “আমার নাম তাতা।” বলিয়া দিদির কাপড় আরও শক্ত করিয়া ধরিল। o হাসি রাজাকে বুঝাইয়া বলিল, “ও কিনা ছেলেমানুষ, তাই ওকে সকলে তাতা বলে ।” ছোটো ভাইটির দিকে মুখ ফিরাইয়া কহিল, ”আচ্ছা, বল দেখি মন্দির।” ছেলেটি দিদির দিকে চাহিয়া কহিল, “লদন্দ ।” হাসি হাসিয়া উঠিয়া কহিল, “তাতা মন্দির বলিতে পারে না, বলে লঙ্গনা – আচ্ছা, বল দেখি কড়াই ।” ছেলেটি গম্ভীর হইয়া বলিল, “বলাই ।” হাসি আবার হাসিয়া উঠিয়া কহিল, "তাতা আমাদের কড়াই বলিতে পারে না, বলে বলাই।” বলিয়া তাতাকে ধরিয়া চুমো খাইয়া খাইয়া অস্থির করিয়া দিল । তাতা সহসা দিদির এত হাসি ও এত আদরের কোনোই কারণ খুজিয়া পাইল না, সে কেবল মস্ত চোখ মেলিয়া চাহিয়া রহিল । বাস্তবিকই মন্দির এবং কড়াই শৰ উচ্চারণ সম্বন্ধে তাতার সম্পূর্ণ ক্রটি ছিল, ইহা অস্বীকার করা যায় না ; তাতার বয়সে হাসি মন্দিরকে কখনোই লদন্দ বলিত না, সে মন্দিরকে বলিত পালু, আর সে কড়াইকে বলাই বলিত কি না জানি ন৷ কিন্তু কড়িকে বলিত ঘয়ি, সুতরাং তাতার এরূপ বিচিত্র উচ্চারণ শুনিয়া তাহার যে অত্যন্ত হাসি পাইবে, তাহাতে আর আশ্চর্ষ কী । তাত সম্বন্ধে নানা ঘটনা সে রাজাকে বলিতে লাগিল। এক বার এক জন বুড়োমানুষ কম্বল জড়াইয়া আসিয়াছিল, তাতা তাহাকে ভাল্লুক বলিয়াছিল, এমমি তাতার মন্দ বুদ্ধি। আর এক বার তাত গাছের আতা-ফলগুলিকে পাখি মনে করিয়া মোটা মোট ছোটো দুটি হাতে তালি দিয়া তাহাদিগকে উড়াইয়া দিবার চেষ্টা করিয়াছিল। তাত যে হাসির চেয়ে অনেক ছেলেমানুষ, ইহা তাতার দিদি বিস্তর উদাহরণ দ্বারা সম্পূর্ণরূপে প্রমাণ করিয়া দিল। তাতা নিজের বুদ্ধির পরিচয়ের কথা সম্পূর্ণ অবিচলিত চিত্তে শুনিতেছিল, যতটুকু বুঝিতে পারিল, তাহাতে ক্ষোভের কারণ কিছুই দেখিতে পাইল না। এইরূপে সেদিনকার সকালে ফুল তোলা শেষ হইল। cहांtछै। cभरग्रन्द्रि अॅकिन उब्रिञ्च रुथन छून निष्णन, उथन ब्रांछब्रि भएन इहेण एषन ॐशब भूजा cनव श्हेण ; ७हे इशः नद्रण थाप्नब cत्ररश्द्र नृथ cनषिद्रा ७हे गक्जि रुगराब আশ মিটাইয়া ফুল তুলিয়া দিয়া তাহার যেন দেবপূজার কাজ হইল।