পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रांछर्दि 8ミ》 এমন সময় সহসা মন্দিরের ভিত্তির উপরে ছায়া পড়িল । নক্ষত্র রায় পশ্চাতে চাহিয়া দেখিলেন, রাজা। চকিতের মধ্যে নেশা সম্পূর্ণ ভূটিয়া গেল। নিজের ছায়ার চেয়ে নিজে মলিন হইয়া গেলেন । ত্রুভবেগে নিদ্রিত ধ্রুবকে কোলে তুলিয়া লইয়া গোবিন্দমাণিক্য প্রহরীদিগকে কহিলেন, “ইহাদের দু-জনকে ৰন্দী করে ।” চারি জন প্রহরী রঘুপতি ও নক্ষত্র রায়ের দুই হাত ধরিল । ধ্রুবকে বুকের মধ্যে চাপিয়া ধরিয়া বিজন পথে জ্যোংস্কালোকে রাজা প্রাসাদে ফিরিয়া আসিলেন । রঘুপতি ও নক্ষত্র রায় সে রাত্রে কারাগারে রছিলেন । অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ তাহার পরদিন বিচার । বিচারশাল লোকে লোকারণ্য। বিচারাসনে রাজা বসিয়াছেন, সভাসদের চারি দিকে বসিয়াছেন । সম্মুখে দুই জন বন্দী। কাহারও হাতে শৃঙ্খল নাই। কেবল সশস্ত্র প্রহরী তাহাদিগকে ঘেরিয়া আছে, রঘুপতি পাষাণমূর্তির মতো দাড়াইয়া আছেন, নক্ষত্র রায়ের মাথা নত। রঘুপতির দোষ সপ্রমাণ করিয়া রাজা তাহাকে বলিলেন, “তোমার কী বলিবার एषांराड् ?” রঘুপতি কছিলেন, “আমার বিচার করিবার অধিকার আপনার নাই।” রাজা কহিলেন, “তবে তোমার বিচার কে করিবে ?” রঘুপতি। “আমি ব্রাহ্মণ, আমি দেব-সেবক, দেবতা আমার বিচার করিবেন।” রাজা । *পাপের জও ও পুণ্যের পুরস্কার দিবার জন্ত জগতে দেবতার সহস্ৰ জছুচয় আছে। আমরাও তাহার এক জন । সে কথা লইয়া আমি তোমার সহিত ৰিচায় করিতে চাই না—আমি জিজ্ঞাসা করিতেছি, কাল সন্ধ্যাকালে বলির মানসে তুমি একটি শিশুকে হরণ করিয়াছিলে কি না।” রঘুপতি কছিলেন, “হ্যা।” রাজা কছিলেন, “তুমি অপরাধ স্বীকার করিতেছ?” রঘুপতি। “জপরাধ ! অপরাধ কিসের। আমি মায়ের আদেশ পালন করিতেছিলাম, মায়ের কার্ধ করিতেছিলাম, তুমি তাহার ব্যাঘাত করিয়াছ—অপরাধ তুমি করিয়াছ—জামি মায়ের সমক্ষে তোমাকে অপরাধী করিতেছি, তিনি তোমার বিচার করিবেন।”