পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ઉંઠર রবীক্স-রচনাবলী দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ শাহজাকে কোনোমতে হস্তগত করাই রঘুপতির উদ্বেগু ছিল। তিনি যখন শুনিলেন, সুজা দুর্গ আক্রমণ করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন তখন মনে করিলেন মিত্রভাবে দুর্গের মধ্যে প্রবেশ করিয়া তিনি কোনোরূপে স্বজার দুর্গ-আক্রমণে সাহায্য করিবেন —কিন্তু ব্রাহ্মণ যুদ্ধবিগ্রহের কোনো ধার ধারেন না, কী করিলে যে স্বজার সাহায্য হইতে পারে ভাবিয়া পাইলেন না । পরদিন আবার যুদ্ধ আরম্ভ হইল। বিপক্ষ পক্ষ বারুদ দিয়া দুর্গপ্রাচীরের কিয়দংশ উড়াইয়া দিল কিন্তু ঘন ঘন গুলি বর্ষণের প্রভাবে দুর্গে প্রবেশ করিতে পারিল না। ভগ্ন অংশ দেখিতে দেখিতে গাথিয়া তোলা হইল। আজ মাঝে মাঝে দুর্গের মধ্যে গোলাগুলি আসিয়া পড়িতে লাগিল, দুই-চারি জন করিয়া দুর্গ-সৈন্য হত ও আহত হইতে লাগিল । “ঠাকুর, কিছু ভয় নাই, এ কেবল খেলা হইতেছে” বলিয়া খুড়াসাহেব রঘুপতিকে লইয়া দুর্গের চারি দিকে দেখাইয়া বেড়াইতে লাগিলেন । কোথায় অস্ত্রাগার, কোথায় ভাণ্ডার, কোথায় আহতদের চিকিৎসাগৃহ, কোথায় বন্দীশালা, কোথায় দরবার, এই সমস্ত তন্ন তন্ন করিয়া দেখাইতে লাগিলেন ও বার বার রঘুপতির মুখের দিকে চাহিতে লাগিলেন। রঘুপতি কহিলেন, “চমৎকার কারখানা । ত্রিপুরার গড় ইহার কাছে লাগিতে পারে না, কিন্তু সাহেব গোপনে পলায়নের জন্ত ত্রিপুরার গড়ে একটি আশ্চর্ষ স্বরঙ্গ-পথ আছে, এখানে সেরূপ কিছুই দেখিতেছি না।” খুড়াসাহেব কী একটা বলিতে যাইতেছিলেন, সহসা আত্মসংবরণ করিয়া কহিলেন, “না, এ দুর্গে সেরূপ কিছুই নাই ।” রঘুপতি নিতান্ত আশ্চর্ষ প্রকাশ করিয়া কহিলেন, “এত বড়ো দুর্গে একটা স্বরজপথ নাই, এ কেমন কথা হইল।” भूम्नानारश्च किडू काङग्न झझेब्रा कश्रिजन, “नाहे, ७ क् िश्रङ गाzब्र । चबछहे আছে, তবে আমরা হয়তো কেহ জানি না ।” রঘুপতি হাসিয়া কছিলেন, “তবে তো না থাকারই মধ্যে । যখন আপনিই জানেন না তখন আর কেই বা জানে ।” খুড়াসাহেব অত্যন্ত গভীর হইয়া কিছু ক্ষণ চুপ করিয়া রছিলেন, তার পরে সহসা “রাম রাম” বলিয়া তুড়ি দিয়া হাই তুলিলেন, তার পর মুখে গোফে দাড়িতে দুই-এক বার হাত বুলাইয়া হঠাৎ বলিলেন, “ঠাকুর, পূজা-অৰ্চনা লইয়া থাকেন আপনাকে বলিতে