পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8\రిస్రి রবীন্দ্র-রচনাবলী cभानप्न इर्श-धावप्लव खछ ८ष शबत्र-गष चारह ७हे थांtणद्र गडौब ऊरणहे डांशब প্রবেশের মুখ। এই পথ বাহিয়া সুরঙ্গ-প্রান্তে পৌঁছিয়া নিচে হইতে সবলে ঠেলিলেই একটি পাথর উঠিয়া পড়ে, উপর হইতে তাহাকে কিছুতেই উঠানো যায় না । সুতরাং যাহারা দুর্গের ভিতরে অাছে তাহারা এ পথ দিয়া বাহির হইতে পারে না। বন্দীশালার পালঙ্কের উপরে স্বজা নিদ্রিত। পালঙ্ক ছাড়া গৃহে আর কোনো সজা নাই। একটি প্রদীপ জলিতেছে। সহসা গৃহে ছিদ্র প্রকাশ পাইল । অল্পে অল্পে মাথা তুলিয়া পাতাল হইতে রঘুপতি উঠিয়া পড়িলেন। তাহার সর্বাঙ্গ ভিজা। সিক্ত বস্ত্র হইতে জলধারা ঝরিয়া পড়িতেছে। রঘুপতি ধীরে ধীরে স্বজাকে স্পর্শ করিলেন । স্বজা চমকিয়া উঠিয়া চক্ষু রগড়াইয়া কিছু ক্ষণ বসিয়া রহিলেন, তার পরে জালস্তজড়িত স্বরে কহিলেন, "কী হাঙ্গাম । ইহারা কি আমাকে রাত্রেও ঘুমাইতে দিবে না। তোমাদের ব্যবহারে আমি আশ্চর্য হইয়াছি।” রঘুপতি মৃদুস্বরে কছিলেন, “শাহাজাদা, উঠিতে আজ্ঞা হউক। আমি সেই ব্রাহ্মণ । আমাকে স্মরণ করিয়া দেখুন। ভবিষ্যতেও আমাকে স্মরণে রাখিবেন ।” পরদিন প্রাতে সম্রাট-সৈন্ত যাত্রার জন্য প্রস্তুত হইল। স্বজাকে নিদ্রা হইতে জাগাইবার জন্য রাজা জয়সিংহ স্বয়ং বন্দীশালায় প্রবেশ করিলেন। দেখিলেন, স্বজা তখনো শয্যা হইতে উঠেন নাই । কাছে গিয়া স্পর্শ করিলেন । দেখিলেন, স্বজা নহে, তাহার বস্ত্র পড়িয়া আছে । স্বজা নাই । ঘরের মেজের মধ্যে স্বরঙ্গ-গহবর, তাহার প্রস্তর-আবরণ উন্মুক্ত পড়িয়া আছে । বন্দীর পলায়নবার্তা দুর্গে রাষ্ট্র হইল। সন্ধানের জন্ত চারি দিকে লোক ছুটিল । রাজা বিক্রমসিংহের শির নত হইল । বন্দী কিরূপে পলাইল তাহার বিচারের জন্ত সভা বসিল । খুড়াসাহেবের সেই গর্বিত সহর্ষ ভাব কোথায় গেল । তিনি পাগলের মতো ‘ব্রাহ্মণ কোথায় ‘ব্রাহ্মণ কোথায় করিয়া রঘুপতিকে খুজিয়া বেড়াইতেছেন। ব্রাহ্মণ কোথাও নাই। পাগড়ি খুলিয়া খুড়াসাহেব কিছু কাল মাথায় হাত দিয়া বসিয়া রহিলেন । স্বচেতসিংহ পাশে আসিয়া বসিলেন, কহিলেন, “খুড়াসাহেব, কী আশ্চৰ কারখানা। এ কি সমস্ত ভূতের কাও।” খুড়াসাহেব বিষ ভাবে ঘাড় নাড়িয়া কহিলেন, “না এ ভূতের কাও নয় স্বচেতসিংহ, এ এক জন নিতান্ত নির্বোধ বৃদ্ধের কাও ও জার এক জন বিশ্বাসঘাতক পাযণ্ডের কাজ ।” ஆ স্বচেতসিংহ আশ্চর্ষ হইয়া কহিলেন, “তুমি যদি তাছাদের জানই তবে তাহাজের গ্রেফতার করিয়া দাও না কেন ।”