পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88Wo রবীন্দ্র-রচনাবলী ब्रिा नक्ज ब्राप्झ्द्र झुत्वपूडे उँशत्रु निम्न जहेब छानिइरह—णबन ऊंशब्र गएक বিজন, লোকালয় কেবল শূন্ত মরুভূমি। नक्रब ब्राग्न थारू श्हेब्रा उँीशब्र गार्श्वदउँौं झांप्लांटक बिखांना कट्ब्रन, “चाब कउ तूब যাইতে হইবে।” o ছায়া উত্তর করে, “অনেক দূৰ ।” “কোথায় যাইতে হইবে।” তাহার উত্তর নাই। নক্ষত্র রায় নিঃশ্বাস ফেলিয়া চলিতে থাকেন। তরুশ্রেণীর মধ্যে পাতা-দিয়া-ছাওয়া নিভৃত পরিচ্ছন্ন কুটির দেখিলে তাহার মনে হয়, আমি যদি কুটিরের অধিবাসী হইতাম। গোধূলির সময় যখন রাখাল লাঠি কাধে করিয়া মাঠ দিয়া গ্রাম্য পথ দিয়া ধুলা উড়াইয়া গোরু-বাছুর লইয়া চলে, নক্ষত্র রায়ের মনে হয়, আমি যদি ইহার সঙ্গে যাইতে পাইতাম, সন্ধ্যাবেলায় গৃহে গিয়া বিশ্রাম করিতে পাইতাম । মধ্যাহ্নে প্রচণ্ড রৌদ্রে চাষা চাষ করিতেছে, তাহাকে দেখিয়া নক্ষত্র রায় মনে করেন, আহা এ কী সুখী । পথকষ্টে নক্ষত্র রায় বিবর্ণ শীর্ণ মলিন হইয়া গিয়াছেন— রঘুপতিকে বলেন, “ঠাকুর, আমি আর বঁচিব না ।” রঘুপতি বলেন, “এখন তোমাকে মরিতে দিবে কে।” নক্ষত্র রায়ের মনে হইল, রঘুপতি অবকাশ না দিলে তাহার মরিবারও স্বযোগ নাই। এক জন স্ত্রীলোক নক্ষত্র রায়কে দেখিয়া বলিয়াছিল, “আহা কাদের ছেলে গো । একে পথে কে বাহির করিয়াছে।” শুনিয়া নক্ষত্র রায়ের প্রাণ গলিয়া গেল, তাহার চোখে জল আসিল, তাহার ইচ্ছা হইল সেই স্ত্রীলোকটিকে মা বলিয়া তাহার সঙ্গে তাহার ঘরে চলে যান । কিন্তু নক্ষত্র রায় রঘুপতির হাতে যতই কষ্ট পাইতে লাগিলেন রঘুপতির ততই বশ হইতে লাগিলেন–রঘুপতির অঙ্গুলির ইঙ্গিতে তাহার সমস্ত অস্তিত্ব পরিচালিত হইতে লাগিল । চলিতে চলিতে ক্রমে নদীর বাহুল্য কমিয়া আসিতে লাগিল। ক্রমে ভূমি দৃঢ় হইয়া আসিল ; স্মৃত্তিক লোহিতবর্ণ, কঙ্করময়, লোকালয় দূরে দূরে স্থাপিত, গাছপালা বিরল ; নারিকেল-বনের দেশ ছাড়িয়া দুই পখিক তাল-বনের দেশে আসিয়া পড়িলেন। মাঝে মাঝে বড়ে বড়ো বাধ, শুষ্ক নদীর পথ, দূরে মেঘের মতো পাহাড় দেখা যাইতেছে। ক্রমে শামুজার রাজধানী রাজমহল নিকটবর্তী হইতে লাগিল।