পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ses ब्रवैौड-ब्रछनांवलौ রাজা নিরুত্তর হইয়া রছিলেন কিন্তু তাহার মনের মধ্য হইতে সংশয় সম্পূর্ণ দূর হইল না। প্রজারা তাহার প্রতি অসন্তুষ্ট হইয়াছে, তাহার প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করিতেছে, ইহাতে তাহার হৃদয়ে আঘাত লাগিয়াছে, তাহার নিজের প্রতিও নিজের সন্দেহ জন্সিয়াছে। তিনি নিশ্বাস ফেলিয়া কহিলেন, “কিছুই বুঝিতে পারি না।” বিৰন কহিলেন, “অধিক বুঝিবার আবগুক কী । কেন কতকগুলো ইন্ধর আসিয়া শস্ত থাইয়া গেল তাহা না-ই বুঝিলাম। আমি অন্যায় করিব না, আমি সকলের হিত করিব, এইটুকু স্পষ্ট বুঝিলেই হইল। তার পরে বিধাতার কাজ বিধাতা করিবেন, তিনি আমাদের হিসাব দিতে আসিবেন না।” রাঙ্গ কহিলেন, “ঠাকুর, তুমি গৃহে গৃহে ফিরিয়া অবিশ্রাম কাজ করিতেছ, পৃথিবীর যতটুকু হিত করিতেছ ততটুকুই তোমার পুরস্কার হইতেছে, এই আনন্দে তোমার সমস্ত সংশয় চলিয়া যায়। আমি কেবল দিনরাত একটা মুকুট মাথায় করিয়া সিংহাসনের উপরে চড়িয়া বসিয়া আছি, কেবল কতকগুলো চিন্তা ঘাড়ে করিয়া আছি—তোমার কাজ দেখিলে আমার লোভ হয় ।” বিৰন কহিলেন, “মহারাজ, আমি তোমারই তো এক অংশ ; তুমি ঐ সিংহাসনে বসিয়া না থাকিলে আমি কি কাজ করিতে পারিতাম। তোমাতে আমাতে মিলিয়া জামরা উভয়ে সম্পূর্ণ হইয়াছি।” এই বলিয়া বিশ্বন বিদায় গ্রহণ করিলেন–রাজা মুকুট মাথায় করিয়া ভাবিতে লাগিলেন। মনে মনে কছিলেন, “আমার কাজ যথেষ্ট রহিয়াছে আমি তাহার কিছুই করি না। আমি কেবল আমার চিস্তা লইয়াই নিশ্চিন্ত রহিয়াছি । সেই জগুট আমি প্রজাদের বিশ্বাস আকর্ষণ করিতে পারি না । রাজ্যশাসনের আমি যোগ্য নই।” একত্রিংশ পরিচ্ছেদ মোগল-সৈন্তের কর্তী হইয়া নক্ষত্র রায় পথের মধ্যে তেঁতুলে নামক একটি স্থূত্র গ্রামে বিশ্রাম করিতেছিলেন। প্রভাতে রঘুপতি আসিয়া কছিলেন, “ৰাজা করিতে হইবে মহারাজ, প্রস্তুত হ’ন ।” गश्न ब्रपूलउिद्र भूथ भशव्राज भक चठारु धिहे तनाहेन । नक्रब ब्रांब फेब्रनिड হইয়া উঠিলেন। তিনি কল্পনায় পৃথিবীমৃদ্ধ লোকের মুখ হইতে মহারাজ সভাষণ শুনিতে লাগিলেন—তিনি মনে মনে ত্রিপুরার উচ্চ সিংহাসনে চড়িয়া সভা উজ্জল কম্বিয়া