পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 dbr · রবীক্স-রচনাবলী ফকির গোবিন্দমাণিক্যকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “শুনিয়াছি তুমি এক কালে রাজা ছিলে, কোথাকার রাজা ?” গোবিন্দ্ৰমাণিক্য কহিলেন, “ত্রিপুরার ।” শুনিয়া বালকেরা উহাকে অত্যন্ত ছোটাে বিবেচনা করিল। তাহার কোনো কালে ত্রিপুরার নাম শুনে নাই। কিন্তু ফকির ঈষং বিচলিত হইয়া উঠিলেন। আবার জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার রাজত্ব গেল কী করিয়া ?” গোবিন্দমাণিক্য কিছু ক্ষণ চুপ করিয়া রছিলেন। অবশেষে কহিলেন, “বাংলার নবাব শ স্বজা আমাকে রাজ্য হইতে নির্বাসিত করিয়া দিয়াছেন।” নক্ষত্র রায়ের কোনো কথা বলিলেন না । এই কথা শুনিয়া বালকেরা সকলে চমকিয়া উঠিয়া ফকিরের মুখের দিকে চাহিল। ফকিরের মুখ যেন বিবর্ণ হইয়া গেল। তিনি সহসা বলিয়া ফেলিলেন, "এ-সকল বুঝি তোমার ভাইয়ের কাজ । তোমার ভাই বুঝি তোমাকে রাজ্য হইতে তাড়া করিয়া সন্ন্যাসী করিয়াছে।” রাজা আশ্চর্ষ হইয়া গেলেন, কহিলেন, “তুমি এত সংবাদ কোথায় পাইলে সাহেব ।” পরে মনে করিলেন, আশ্চর্যের বিষয় কিছুই নাই, কাহারও নিকট হইতে শুনিয়া থাকিবেন । ফকির তাড়াতাড়ি কহিলেন, “আমি কিছুই জানি না। আমি কেৰল আকুমান করিতেছি।” ** রাত্রি হইলে সকলে শয়ন করিতে গেলেন। সে-রাত্রে ফকিরের আর ঘুম হুইল না। জাগিয়া দুঃস্বপ্ন দেখিতে লাগিলেন এবং প্রত্যেক শব্দে চমকিয়া উঠিলেন । পরদিন ফকির গোবিন্দমাণিক্যকে কহিলেন, “বিশেষ প্রয়োজন বশত এখানে জার थांक झ्हेल न । श्रांभद्रां त्रांछ विनाग्न झ हे ।” গোবিন্দমাণিক্য কহিলেন, “বালকের পথের কষ্টে প্রাপ্ত হইয়া পড়িয়াছে, উহাদিগকে আর কিছু কাল বিশ্রাম করিতে দিলে ভালো হয়।” বালকের কিছু বিরক্ত হইল—তাছাদের মধ্যে সর্বজ্যেষ্ঠটি ফকিরের দিকে চাহিয়৷ কহিল, “আমরা কিছু নিতান্ত শিশু না, যখন আবগুক তখন জনায়াসে কষ্ট সৰ করিতে পারি।” গোবিন্দমাণিক্যের নিকট হইতে তাহারা গ্রেহ গ্রহণ করিতে প্রস্তুত নহে। গোবিন্দমাণিক্য আর কিছু বলিলেন না । * ककिब्र वथन बांबाब्र उरश्चनं कब्रिट्ठtझन, ७भन नभरब छूcर्ग जांब ७कखन चडिषेि আগমন করিলেন। তাহাকে দেখিয় রাজা ও ফকির উভয়ে আশ্চর্ষ হইয়া গেলেৰ।