পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

do রবীন্দ্র-রচনাবলী আমি কায়মনে উদ্ভিদ সেৰন করিয়া থাকি। ইটকাঠ চুনস্থরকি মৃত্যু-ভারের মতো আমার উপর চাপিয়া থাকে। হৃদয় পলে পলে মরিতে থাকে। বড়ো বড়ো ইমারতগুলো তাহাদের শক্ত শক্ত কড়িবরগা মেলিয়া হা করিয়া আমাকে গিলিয়া ফেলে। প্রকাও কলিকাতাটার কঠিন জঠরের মধ্যে আমি যেন একেবারে, হজম হইয়া যাই । কিন্তু এখানে এই গাছপালার মধ্যে প্রাণের হিল্লোল। হৃদয়ের মধ্যে যেখানে জীবনের সরোবর আছে, প্রকৃতির চারি দিক হইতে সেখানে জীবনের স্রোত আসিয়া মিশিতে থাকে । বঙ্গদেশ এখান হইতে কত শত ক্রোশ দূরে । কিন্তু এখান হইতে বঙ্গভূমির এক নূতন মূর্তি দেখিতে পাইতেছি । যখন বঙ্গদেশের ভিতরে বাস করিতাম, তখন বঙ্গদেশের জন্ত বড়ো আশা হইত না । তখন মনে হইত বঙ্গদেশ গোফে তেল গাছে কাঠালের দেশ। যত বড়ো না মুখ তত বড়ো কথার দেশ। পেটে পিলে, কানে কলম ও মাথায় শামলার দেশ । মনে হইত এখানে বিচিগুলাই দেখিতে দেখিতে তেরো হাত হইয়া কাকুড়কে অতিক্রম করিয়া উঠে । এখানে পাড়াগেয়ে ছেলেরা হাত-পা নাড়িয়া কেবল একটা প্রহসন অভিনয় করিতেছে, এবং মনে করিতেছে দর্শকের শুদ্ধ কেবল জাড়ি করিয়া হাসিতেছে, হাসির কোনো যুক্তিসংগত কারণ নাই । কিন্তু আজি এই সহস্ৰ ক্রোশ ব্যবধান হইতে বঙ্গভূমির মুখের চতুর্দিকে এক অপূর্ব জ্যোতির্মগুল দেখিতে পাইতেছি । বঙ্গদেশ আজি মা হইয়া ৰসিয়াছেন, তাহার কোলে বঙ্গবাসী নামে এক স্বন্দর শিশু—তিনি হিমালয়ের পদপ্রাস্তে সাগরের উপকূলে তাহার শুামল কানন র্তাহার পরিপূর্ণ শস্তক্ষেত্রের মধ্যে র্তাহার গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের তীরে এই শিশুটি কোলে করিয়া লালন করিতেছেন । এই সস্তানের মুখের দিকে মাতা অবনত হইয়া চাহিয়া আছেন, ইহাকে দেখিয়া তাহার মুখে আশা ও আনন্দের জাভা দীপ্তি পাইয়া উঠিয়াছে। সহস্ৰ ক্রোশ অতিক্রম করিয়া আমি মায়ের মুখের সেই আশার আলোক দেখিতে পাইতেছি। আমি আশ্বাস পাইতেছি এ সস্তান মরিবে না। বঙ্গভূমি এই সম্ভানটিকে মান্থৰ করিয়া ইহাকে এক দিন পৃথিবীর কাজে উৎসর্গ করিতে পারিৰেন। यक्रसूभिब्र ८कांण इहेष्ठ चांछ भांटक भांtख लितब शनि लिछद्र कमन तनिtङहिবলভূমির সহক্স নিকুঞ্জ এত দিন নিস্তব্ধ ছিল, বঙ্গভবনে শিশুর কণ্ঠঞ্চনি এত দিন শুনা যায় নাই, এত দিন এই ভাগীরথীর উভয় তীর কেবল শ্মশান বলিয়া মনে হইত। আজ बगडूमिब्र चानक-छे९गब छांबउबाईब्र क्रांबि श्कि इहेष्ठ ज्ना बाहेrउtइ, । चाज ভারতবর্ষের পূর্বপ্রাস্তে যে নব জাতির জন্ম-সংগীত গান হইতেছে, ভারতবর্ষের দক্ষিণ প্রান্ত পশ্চিমঘাটগিরির সীমান্ডদেশে বসিয়া আমি তাহা শুনিতে পাইতেছি। বদদেশের