পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V og রবীন্দ্র-রচনাবলী भर्दङांe निष्ठांखहे जनखर बलिएउ भांब्रि ना । भूष बनिणांश,-इeि निरछद्र ब्रध्ना সম্বন্ধে লেখকের মনে অনেক সময়ে অসন্দিগ্ধ মত থাকে তথাপি তাহা যে ভ্রান্ত হইতে পারে ইতিহাসে এমন অনেক প্রমাণ আছে—অপর পক্ষে সমালোচক-সম্প্রদায়ও যে সম্পূর্ণ অভ্রান্ত নহে ইতিহাসে সে প্রমাণেরও কিছুমাত্র অসম্ভাব নাই। অতএব কেবল এইটুকু নি:সংশয়ে বলা যাইতে পারে যে, আমার এ লেখা ঠিক তোমার মনের মতে হয় নাই ; সে নিশ্চয় আমার দুর্ভাগ্য—হয়তো তোমার দুর্ভাগ্যও হইতে পারে। দীপ্তি গম্ভীরমুখে অত্যন্ত সংক্ষেপে কহিলেন,—ত হইবে। বলিয়া একখানা বই টানিয়া লইয়া পড়িতে লাগিলেন । ইহার পরে স্রোতস্বিনী আমাকে সেই কবিতা পড়িবার জন্ত আর দ্বিতীয়বার অনুরোধ করিলেন না । ব্যোম জানালার বাহিরের দিকে দৃষ্টিক্ষেপ করিয়া যেন স্থদুর আকাশতলবর্তী কোনো এক কাল্পনিক পুরুষকে সম্বোধন করিয়া কহিল,—যদি তাৎপর্ধের কথা বল, তোমার এবারকার কবিতার আমি একটা তাৎপর্য গ্রহণ করিয়াছি। ক্ষিতি কহিল,—আগে বিষয়টা কী বলে দেখি ? কবিতাটা পড়া হয় নাই সে কথাটা কবিবরের ভয়ে এত ক্ষণ গোপন করিয়াছিলাম, এখন ফাস করিতে হইল। ব্যোম কহিল,—শুক্রাচার্ধের নিকট হইতে সঞ্জীবনী বিদ্যা শিখিবার নিমিত্ত বৃহস্পতির পুত্র কচকে দেবতারা দৈত্যগুরুর আশ্রমে প্রেরণ করেন। সেখানে কচ সহস্রবর্ষ নৃত্যগীতদ্বারা শুক্রতনয় দেবযানীর মনোরঞ্জন করিয়া সঞ্জীবনী-বিষ্ঠা লাভ করিলেন । অবশেষে যখন বিদায়ের সময় উপস্থিত হইল তখন দেবযানী তাহাকে প্রেম জানাইয়া আশ্রম ত্যাগ করিয়া যাইতে নিষেধ করিলেন । দেবযানীর প্রতি অস্তরের আসক্তিসত্ত্বেও কচ নিষেধ না মানিয়া দেবলোকে গমন করিলেন। গল্পটুকু এই। মহাভারতের সহিত একটুখানি অনৈক্য আছে কিন্তু সে সামান্ত । ক্ষিতি কিঞ্চিং কাতরমুখে কহিল,—গল্পটি বারো হাত কাকুড়ের অপেক্ষ বড়ো হুইবে না কিন্তু আশঙ্কা করিতেছি ইহা হইতে তেরো হাত পরিমাণের তাৎপর্ব বাহির হইয়া পড়িবে। ব্যোম ক্ষিতির কথায় কর্ণপাত না করিয়া বলিয়া গেল,—কথাটা দেহ এবং আত্মা लझेम्नां । சி শুনিয়া সকলেই সশঙ্কিত হুইয়া উঠিল। ক্ষিতি কহিল,—আমি এইবেলা আমার দেহ এবং আত্মা লইয়া মানে মানে বিদায় হইলাম।