পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চভূত )و e o তোমরা যে সকল কথা তুলিয়াছিলে সেগুলা বড়ো বেশি সাধারণ কথা। মনে করে যদি বলা যায়, রামায়ণের তাৎপর্ব এই যে, রাজার গৃহে জন্মিয় অনেকে দুঃখ ভোগ করিয়া থাকে, অথবা শকুন্তলার তাৎপর্ব এই যে, উপযুক্ত অবসরে স্ত্রীপুরুষের চিত্তে পরম্পরের প্রতি প্রেমের সঞ্চার হওয়া অসম্ভব নহে, তবে সেটাকে একটা নূতন শিক্ষা বা বিশেষ বার্তা বলা যায় না। t স্রোতস্বিনী কিঞ্চিৎ ইতস্তত করিয়া কহিল,—আমার তো মনে হয় সেই সকল সাধারণ কথাই কবিতার কথা। রাজগৃহে জন্মগ্রহণ করিয়াও সর্বপ্রকার স্বখের সম্ভাবনা সত্বেও चाशृङ्गाकांण चनैौभ फूःथ ब्रांभ जैौडां८क ग९क हड़ेरउ नरकमॆांखtद्र बाitथब्र छांद्र আহুসরণ করিয়া ফিরিয়াছে ; সংসারের এই অত্যন্ত সম্ভবপর, মানবাদৃষ্টের এই অত্যন্ত পুরাতন দুঃখকাহিনীতেই পাঠকের চিত্ত আকৃষ্ট এবং আর্দ্র হইয়াছে। শকুন্তলার প্ৰেমদৃশ্বের মধ্যে বাস্তবিকই কোনো নূতন শিক্ষা বা বিশেষ বার্তা নাই, কেবল এই নিরতিশয় প্রাচীন এবং সাধারণ কথাটি আছে যে, শুভ অথবা অশুভ অবসরে প্রেম অলক্ষিতে অনিবাৰ্ধ বেগে আসিয়া দৃঢ়বন্ধনে স্ত্রীপুরুষের হৃদয় এক করিয়া দেয়। এই অত্যন্ত সাধারণ কথা থাকাতেই সর্বসাধারণে উহার রসভোগ করিয়া আসিতেছে । কেহ কেহ বলিতে পারেন, দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের বিশেষ অর্থ এই যে, মৃত্যু এই জীবজন্তু-তরুলতা-তৃণাচ্ছাদিত বস্বমতীর বস্ত্র আকর্ষণ করিতেছে কিন্তু বিধাতার আশীৰ্বাদে কোনোকালে তাহার বসনাঞ্চলের অস্ত হইতেছে না, চিরদিনই সে প্রাণময় সৌন্দর্যময় নববস্ত্রে ভূষিত থাকিতেছে । কিন্তু সভাপর্বে যেখানে আমাদের হৃৎপিণ্ডের রক্ত তরঙ্গিত হইয়া উঠিয়াছিল এবং অবশেষে সংকটাপন্ন ভক্তের প্রতি দেবতার কুপান্থ দুই চক্ষু অশ্রজলে প্লাবিত হইয়াছিল, সে কি এই নূতন এবং বিশেষ অর্থ গ্রহণ করিয়া। না, অত্যাচার-পীড়িত রমণীর লজা ও সেই লজ্জানিবারণ নামক অত্যন্ত সাধারণ স্বাভাবিক এবং পুরাতন কথায় ? কচ-দেবযানী-সংবাদেও মানব হৃদয়ের এক অতি চিরন্তন এবং সাধারণ বিষাদকাহিনী বিবৃত আছে, সেটাকে যাহারা অকিঞ্চিংকর জ্ঞান করেন এবং বিশেষ তত্ত্বকেই প্রাধান্ত দেন তাহারা কাব্যরসের অধিকারী নহেন। সমীর হাসিয়া আমাকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন,—শ্ৰীমতী স্রোতস্বিনী আমাদিগকে কাৰ্যরসের অধিকারসীমা হইতে একেবারে নির্বাসিত করিয়া দিলেন এক্ষণে স্বয়ং কবি কী বিচার করেন এক বার শুনা বাক । o - স্রোতস্বিনী অত্যন্ত লজ্জিত ও অনুতপ্ত হইয়া বারংবার এই অপবাদের প্রতিবাদ করিলেন । | আমি কছিলাম,—এই পর্যন্ত বলিতে পারি যখন কবিতাটা লিখিতে বসিয়াছিলাম