পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী হে শ্যামলা সর্বসহ জননী মৃন্ময়ী । সকলের মুখে অন্ন চাহিস জোগাতে, পারিস নে কত বার- “কই অন্ন কই’ বঁকাদে তোর সস্তানেরা স্নান শুষ্ক মুখ । জানি মা গো, তোর হাতে অসম্পূৰ্ণ সুখ— যা—কিছু গডিয়া দিস ভেঙে ভেঙে যায়, সব-তাতে হাত দেয় মৃত্যু সৰ্ব্বভুক, সব আশা মিটাইতে পারিস নে হায়তা বলে কি ছেড়ে যাব তোর তপ্ত বুক ! प्राङ्कितम्रा হে ধরিত্রী, স্নেহ তোর বেশি ভালো লাগেবেদনাকাতর মুখে সকরুণ হাসি, দেখে মোর মাম-মাঝে বড়ো ব্যথা জাগে । আপনার বক্ষ হতে রসরতত্তন নিয়ে প্ৰাণটুকু দিয়েছিস সস্তানের দেহে, অহনিশি মুখে তার আছিস তাকিয়ে, অমৃত নারিস দিতে প্ৰাণপণ স্নেহে । কত যুগ হতে তুই বর্ণগন্ধগীতে সৃজন করিতেছিস আনন্দ-আবাস, আজো শেষ নাহি হল দিবসে নিশীথেস্বাগ নাই, রচেছিস স্বগের আভাস । তাই তোর মুখখানি বিষাদকোমল, সকল সৌন্দর্যে তোর ভরা অশ্রাভ জল । আত্মসমপণ যাহা জানি দু একটি প্রীতি সুমধুর অস্তরের ছন্দোগাথা ; দুঃখের ক্ৰন্দনে বাজিবে আমার কণ্ঠ বিষাদবিন্ধুর তোমার সীমস্তে ভালে ; বিচিত্ৰ বন্ধনে তরঙ্গেতে দিব দোলা নবী ছন্দে তানে । S OS