পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ܠ ܓ মদন । চিত্রাঙ্গদা । বসন্ত । চিত্রাঙ্গদা । রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী পারিল না। পুরুষ করিতে শৈব তেজে, এমনি কঠিন নারী আমি । শুনিয়াছি বটে। তাই তব পিতা পুত্রের সমান পালিয়াছে তোমা। শিখায়েছে ধনুবিদ্যা রাজদণ্ডনীতি । তাই পুরুষের বেশে নিত্য করি রাজকাজ যুবরাজরূপে, ফিরি স্বেচ্ছামতে ; নাহি জানি লজা ভয়, অন্তঃপুরবাস ; নাহি জানি হাবভাব, বিলাসচতুরী ; শিখিয়াছি ধনুর্বিদ্যা, শুধু শিখি নাই, দেব, তব পুষ্পধনু কেমনে বঁাকাতে হয় নয়নের কোণে । সুন্নয়নে, সে বিদ্যা শিখে না কোনো নারী ; নয়ন আপনি করে আপনার কাজ, বুকে যার বাজে সেই বোঝে। এক দিন গিয়েছিনু মৃগা-অন্বেষণে একাকিনী ঘন বনে, পূর্ণ-নদীতীরে। তরুমূলে বঁর্বাধি অশ্ব, দুৰ্গম কুটিল বনপথে পশিলাম মৃগপদচিহ্ন অনুসারি। ঝিল্লিমন্দ্ৰমুখরিত নিত্য-অন্ধকার লতাগুলেক্স গহন গভীর মহারণ্যে কিছু দূর অগ্রসরি দেখি নু সহসা, রুধিয়া সংকীর্ণ পথ রয়েছে শয়ান ভূমিতলে চীরধারী মলিন পুরুষ । সরে যেতে- নডিল সনা, চাহিল না ফিরে । উদ্ধত অধীর রোষে ধনু-অগ্রভাগে করিনু তাড়না— সরল সুদীর্ঘ দেহ মুহুর্তেই তীরবেগে উঠিল দাড়ায়ে সম্মুখে আমার— ভস্মসুপ্ত অগ্নি যথা ঘৃতাহুতি পেয়ে, শিখারূপে উঠে উর্ধেব চক্ষের নিমেষে। শুধু ক্ষণেকের তরে চাহিলা আমার মুখপানে— রোষদৃষ্টি মিলল পলকে ; নাচিল অধরাপ্ৰান্তে স্নিগ্ধ গুপ্ত কৌতুকের মৃদুহাস্যরেখা বুঝি সে বালক-মূর্তি হেরিয়া আমার। শিখে পুরুষের বিদ্যা, প’রে পুরুষের বেশ, পুরুষের সাথে থেকে, এতদিন ভুলে ছিনু যাহা, সেই মুখ চেয়ে, সেই