পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবযানী । কচ । দেবযানী । マエラ | বিদায়-অভিশাপ এই সেই বটতল, যেথা তুমি প্ৰতি দিবসেই গোধন চরাতে এসে পড়িতে ঘুমায়ে মধ্যাহ্নের খরতাপে ১ ব্লকান্ত তব কায়ে অতিথিবৎসল তরুণ দীর্ঘ ছায়াখানি দিত বিছাইয়া, সুখসুপ্তি দিত আনি বাবরি পল্লবদলে করিয়া বীজান মৃদুস্বরে। যেয়ো সখা, তবু কিছুক্ষণ নিয়ে যাও সম্ভাষণ। এ স্নেহছায়ার, দুই দণ্ড থেকে যাও- সে বিলম্বে তব স্বগের হবে না কোনো ক্ষতি । অভিনব বলে যেন মনে হয় বিদায়ের ক্ষণে এই-সব চিরপরিচিত বন্ধুগণে— করিছে বিস্তার সবে ব্যগ্ৰ স্নেহভরে অপূর্ব সৌন্দর্যরাশি। ওগো বনস্পতি, আশ্রিতজনের বন্ধু, করি নমস্কার। কত ছাত্ৰ কত দিন আমার মতন তৃণাসনে, পতঙ্গের মৃদু গুঞ্জস্বরে, করিবেক অধ্যয়ন- প্ৰাতঃস্নান-পরে ঋষিবালকেরা আসি সজল ‘বঙ্কল শুকাবে তোমার শাঁখে- রাখলের দল মধ্যাহ্নে করিবে খেলা- ওগো, তারি মাঝে এ পুরানো বন্ধু যেন স্মরণে বিরাজে । মনে রেখো আমাদের হােমধেনুটিরে ; স্বৰ্গসুধা পান করে সে পুণ্যগ ভুলো না। গরবে । সুধা হতে সুধাময় দুগ্ধ তার— দেখে তারে পাপক্ষয় হয়, মাতৃরূপা, শাস্তিস্বরূপিণী, শুভ্রকান্তি, পয়স্বিনী । না মানিয়া ক্ষুধাতৃষ্ণাশ্রান্তি শ্যামশাস্পপ স্রোতস্বিনীতীরে তারি সনে ফিরিয়াছি দীর্ঘ দিন ; পরিতৃপ্তিভরে স্বেচ্ছামতে ভোগ করি নিম্নতট-’পরে অপৰ্যাপ্ত তৃণ রাশি সুসিন্ধ কোমল WSDO vs.