পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বপ্নমঙ্গলের কথা অমৃতসমান, গৌড়ানন্দ কবি। ভনে, শুনে পুণ্যবান । চোখে কারো নিদ্ৰা নাই, পেটে নাই ভাত । শীৰ্ণ গালে হাত দিয়ে নত করি শির রাজ্যসুদ্ধ বালবৃদ্ধ ভেবেই অস্থির । ছেলেরা ভুলেছে খেলা, পণ্ডিতেরা পাঠ, মেয়েরা করেছে চুপ— এতই বিভ্ৰাট । সারি সারি বসে গেছে কথা নাহি মুখে, চিস্তা যত ভারী হয় মাথা পড়ে ঝুকে । ভূইফোড়া তত্ত্ব যেন ভূমিতলে খোজে, সবে যেন বসে গেছে নিরাকার ভোজে । মাঝে মাঝে দীর্ঘশ্বাস ছাডিয়া উৎকট হঠাৎ ফুকারি উঠে— ‘হিং টিং ছট’।” স্বপ্নমঙ্গলের কথা অমৃতসমান, গৌড়ানন্দ কবি। ভনে, শুনে পুণ্যবান । চারি দিক হতে এল পণ্ডিতের দল— অযোধ্যা কনোজ কাঞ্চী মগধ কোশল । উজয়িনী হতে এল। বুধ-অবতংস। কালিদাস-কবীন্দ্রের ভাগিনেয়ািবংশ । মোটা মোটা পুঁথি লিয়ে উলটায় পাতা, ঘন ঘন নাডে বসি টিকিসুদ্ধ মাথা । বাতাসে দুলিছে যেন শীর্ষ-সমেত । কেহ ব্যাকরণ দেখে, কেহ অভিধান । কোনোখানে নাহি পায় অর্থ কোনোরদীপ, বেড়ে ওঠে অনুস্বর-বিসর্গের স্তুপ । চুপ করে বসে থাকে বিষম সংকট, থেকে থেকে হেঁকে ওঠে— ‘হিং টিং ছটা ।” স্বপ্নমঙ্গলের কথা অমৃতসমান, গৌড়ানন্দ কবি। ভনে, শুনে পুণ্যবান । কহিলেন হতাশ্বাস হবুচন্দ্রর জন্ম * স্নেচছদেশে আছে। নাকি পণ্ডিত-সমাজ, VSDZIRCTTS CIVES GKS TSNCFR CRJ CRJ-RNON TSN CS2— অর্থ যদি ধরা পড়ে তাহদের কাছে।” কটাচুল নীলচক্ষু কপিশকপোল, যােবন পণ্ডিত আসে, বাজে ঢাক ঢোল । Հ Գ