পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী উডে উড়ে খোজে কারে নিজের আলোকে । নাহি যার চালচুলা গায়ে মাখে ছাইধুলা কটিতে জড়ানো শুধু ধূসর কেীপীন, ডেকে কথা কয় তারে কেহ নাই। এ সংসারে, পথের ভিখারী হতে আরো দীনহীন, তার এত অভিমান সোনারুপা তুচ্ছ জ্ঞান, রাজসম্পদের লাগি নাহে সে কাতর, দশা দেখে হাসি পায় আর কিছু নাহি চায় • একেবারে পেতে চায় পরশপাথর ! সম্মুখে গরজে সিন্ধু অগাধ আপার । তরঙ্গে তরঙ্গ উঠি হেসে হল কুটিকুটি সৃষ্টিছাড়া পাগলের দেখিয়া ব্যাপার । হুহু করে সমীরণ ছুটেছে অবাধ । সূর্য ওঠে। প্ৰাতঃকালে পূর্ব-গগনের ভালে, সন্ধ্যাবেলা ধীরে ধীরে উঠে আসে ।চাদ । জলরাশি অবিরল করিতেছে কলকল, অতল রহস্য যেন চাহে বলিবারে । কাম্য ধন আছে কোথা জানে যেন সব কথা, সে-ভাষা যে বোঝে সেই খুজে নিতে পারে । কিছুতে ভ্ৰক্ষেপ নাহি, মহাগাথা গান গাহি সমুদ্র আপনি শুনে আপনার স্বর । কেহ যায় কেহ আসে, কেহ বঁচাদে কেহ হাসে, খ্যাপা তীরে খুঁজে ফিরে পরশপাথর । একদিন, বহুপূর্বে, আছে। ইতিহাস--- নিকষে সোনার রেখা সবে যেন দিল দেখা আকাশে প্ৰথম সৃষ্টি পাইল প্ৰকাশ । মিলি যত সুরাসুর কৌতুহলে ভরপুর এসেছিল। পা টিপিয়া এই সিন্ধুতীরে । বহুকাল স্তব্ধ থাকি শুনেছিল মৃদে আঁখি এই মহাসমুদ্রের গীতি চিরস্তান ; তার পরে কৌতুহলে বঁ্যাপায়ে অগাধ জলে করেছিল এ অনন্ত রহস্য মন্থন । বহুকাল দুঃখ সেবি নিরখিল, লক্ষ্মীদেবী উদিলা জগৎ-মাঝে অতুল সুন্দর { NSD NS