পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মশক্তি NT NRG নূতন অবস্থা, নূতন শিক্ষা, নূতন জাতির সহিত সংঘর্ষ— ইহাকে অস্বীকার করা যায় না। আমরা যদি এমনভাবে চলিতে ইচ্ছা করি, যেন ইহারা নাই, যেন আমরা তিন সহস্ৰ বৎসর পূর্বে বসিয়া আছি, তবে সেই তিন সহস্ৰ বৎসর পূর্বকার অবস্থা আমাদিগকে কিছুমাত্র সাহায্য করিবে না এবং বর্তমান পরিবর্তনের বন্যা আমাদিগকে ভাসাইয়া লইয়া যাইবে । আমরা বর্তমানকে স্বীকারমাত্র না করিয়া পূর্বপুরুষের দোহাই মানিলে তো পূর্বপুরুষ সাড়া দিবেন না। আমাদের পূর্বপুরুষ আমাদের দোহাই পাড়িয়া বলিতেছেন, ‘বর্তমানের সহিত সন্ধি করিয়া আমাদের কীর্তিকে রক্ষা করো, তাহার প্রতি অন্ধ হইয়া ইহাকে সমূলে ধ্বংস হইতে দিয়ে না। আমাদের ভাবসূত্রটিকে রক্ষা করিয়া সচেতনভাবে এক কালের সহিত আর-এক কালকে মিলাইয়া লও, নহিলে সূত্র আপনি ছিন্ন হইয়া যাইবে।” কী করিতে হইবে ? নেশনের প্রত্যেকে ন্যাশনাল স্বার্থ রক্ষার জন্য নিজের স্বাৰ্থ বিসর্জন দিয়া থাকে। যে-সময় হিন্দুসমাজ সজীব ছিল, তখন সমাজের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সমস্ত সমাজ-কলেবারের সার্থকেই নিজের একমাত্র স্বার্থ জ্ঞান করিত । রাজা সমাজেরই অঙ্গ ছিলেন, সমাজ সংরক্ষণ ও চালনার ভার ছিল, তাহার উপর-- ব্ৰাহ্মণ সমাজের মধ্যে সমাজ ধর্মের বিশুদ্ধ আদর্শকে উজুল ও চিরস্থায়ী করিয়া রাখিবার জন্য নিযুক্ত ছিলেন– তাহাদের ধ্যানজ্ঞান শিক্ষা সাধনা সমস্তই সমাজের সম্পত্তি ছিল । গৃহস্থই সমাজের স্তম্ভ বলিয়া গৃহাশ্রম এমন গৌরবের বলিয়া গণ্য হইত। সেই গৃহতুকে জ্ঞানে, ধর্ম, ভাবে, কর্মে সমুন্নত রাখিবার জন্য সমাজের বিচিত্র শক্তি বিচিত্র দিকে সচেষ্টভাবে কাজ বা পিতৃত । তখনকার নিয়ম তখনকার অনুষ্ঠান তখনকার কালের হিসাবে নিরর্থক ছিল মা ! এখন সেই নিয়ম আছে, সেই চেতনা নাই ; সমস্ত সমাজের কল্যাণের প্রতি লক্ষ রাখিয়া। তাহাক uBuDBBDB BuuBDB BBDS BBBB BBBB BD BDBDS 00KL DBBDkBDBB S SSutBS SESBB 和 it wi মধ্যে প্রাণবৎ রূপে প্ৰতিষ্ঠিত করিয়া সমাজের সর্বত্র তাহকে প্রয়োগ করি, তবেই বিপুল হিন্দুস ভ্য৩াকে পুনৰ - - --سس--------- Yeryr - - نام بحر ۰٫۰۰۰ می به حمر- ص = -ro-on-“ SLSS S SSSSSLLSS SSSSSSS SSLS S LLSSLSLSLS S - ---Ferry-spre-rre " ' re -y ۸---s- AS KK S BBBBS DBDuBOuD0BDS LBBDBBBBS BBDBBBBS DDBBS BBBuBBBJD S DSS BDS DuDtuuJSD C0kTkDD কম: ; ইহাতেই আমাদের মঙ্গলা— ইহাকে বাণিজ্য হিসাবে দেখা নহে, ইহার বিনিময়ে পুণ্য ও কল্যাণ t ছাড়া আর কিছুই আশা না করা, ইহাই যজ্ঞ, ইহাই ব্ৰহ্মের সহিত কর্মযোগ, এই কথা নিয়ত স্মরণ করা, ইহাই হিন্দুস্ত্ৰ ! স্বার্থের আদর্শকেই মানবসমাজের কেন্দ্ৰস্থলে না। স্থাপন করিয়া, ব্রহ্মের মধ্যে মানবসমাজকে নিরীক্ষণ করা, ইহাই হিন্দুত্ব । ইহাতে পশু হইতে মনুষ্য পর্যন্ত সকলেরই প্ৰতি কল্যাণ ভােব পরিব্যাপ্ত হইয়া যায় এবং নিয়ত অভ্যাসে স্বার্থ পরিহার করা নিশ্বাস ত্যাগের ন্যায় সহজ হইয়া আসে। সমাজের নীচে হইতে উপর পর্যন্ত সকলকে একটি বৃহৎ নিঃস্বাৰ্থ কল্যাণবন্ধনে বাধা, ইহাই আমাদের সকল চেষ্টার অপেক্ষা বড়ো চেষ্টার বিষয়। এই ঐক্যসূত্রেই হিন্দুসম্প্রদায়ের একের সহিত অন্যের এবং বর্তমানের সহিত অতীতের ধর্মযোগ সাধন করিতে হইবে । আমাদের মনুষ্যত্ব লাভের এই একমাত্র উপায়। রাষ্ট্রনীতিক চেষ্টায় যে কোনো ফল নাই, তাহাই নহে; কিন্তু সে চেষ্টা আমাদের সামাজিক ঐক্যসাধনে কিয়দার সহায়তা করিতে পারে, এই তাহার প্রধান গৌরব। স্বদেশী সমাজ বাংলাদেশের জলকষ্ট নিবারণ সম্বন্ধে গবমেন্টের মন্তব্য প্ৰকাশিত হইলে পর এই প্ৰবন্ধ লিখিত হয় | ‘সুজলা সুফলা বঙ্গভূমি তৃষিত হইয়া উঠিয়াছে । কিন্তু সে চাতক পক্ষীর মতো উর্ধের্বর দিকে তাকাইয়া আছে- কর্তৃপক্ষীয়েরা জলবর্ষণের ব্যবস্থা না করিলে তাহার আর গতি নাই। : গুরুগুরু মেঘগর্জন শুরু হইয়াছে— গবর্মেন্ট সাড়া দিয়াছেন- তৃষ্ণানিবারণের যা-হয় একটা উপায় হয়তো হইবে— অতএব আপাতত আমরা সেজন্য উদবেগ প্ৰকাশ করিতে বসি নাই। ミ||8 ○