পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ර්ම SR রবীন্দ্র-রচনাবলী সম্বন্ধবিশিষ্ট— সেই সম্বন্ধের নিকট তাহারা প্রত্যেকে আপনাকে উৎসর্গ করিতেছে। এইরূপে আমাদের পুরাকালে প্রত্যেক ক্ষত্রসৈন্য আপন রাজাকে বা প্রভুকে অবলম্বন করিয়া ক্ষত্রিধর্মের কাছে আপনাকে নিবেদন করিত— রণক্ষেত্রে তাহারা শতরঞ্জিখেলার দাবাবোড়ের মতো মরিত না— মানুষের মতো হৃদয়ের সম্বন্ধ লইয়া ধর্মের গৌরব লইয়া মরিত। ইহাতে যুদ্ধব্যাপার অনেক সময়েই বিরাট আত্মহত্যার মতো হইয়া দাড়াইত— এবং এইরূপ কাণ্ডকে পাশ্চাত্য সমালোচকেরা বলিয়া থাকেন, “ইহা চমৎকার— কিন্তু ইহা যুদ্ধ নহে।” জাপান এই চমৎকারিত্বের সঙ্গে যুদ্ধকে মিশাইয়া প্ৰাচ্য-প্ৰতীচ্য উভয়েরই কাছে ধন্য হইয়াছেন। যাহা হউক, এইরূপই আমাদের প্রকৃতি। প্রয়োজনের সম্বন্ধকে আমরা হৃদয়ের সম্বন্ধ দ্বারা শোধন করিয়া লইয়া। তবেই ব্যবহার করিতে পারি। সুতরাং অনাবশ্যক দায়িত্বও আমাদিগকে গ্ৰহণ করিতে হয়। প্রয়োজনের সম্বন্ধ সংকীর্ণ— আপিসের মধ্যেই তাহার শেষ। প্ৰভু ভূত্যের মধ্যে যদি কেবল প্ৰভুভুত্যের সম্বন্ধটুিকুই থাকে, তবে কাজ আদায় এবং বেতনদানের মধ্যেই সমস্ত চুকিয়া যায়, কিন্তু তাহার মধ্যে কোনোপ্রকার আত্মীয়সম্বন্ধ স্বীকার করিলেই দায়িত্বকে পুত্রকন্যার বিবাহ এবং শ্রাদ্ধশান্তি পর্যন্ত টানিয়া লইয়া যাইতে হয় | আমার কথার আর-একটা আধুনিক দৃষ্টান্ত দেখুন। আমি রাজসাহি ও ঢাকার প্রোভিনশ্যাল কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলাম। এই কনফারেন্স-ব্যাপারকে আমরা একটা গুরুতর কাজের জিনিস বলিয়া মনে করি, সন্দেহ নাই--- কিন্তু আশ্চর্য এই দেখিলাম, ইহার মধ্যে কাজের গরজের চেয়ে অতিথিসৎকারের ভাবটাই সুপরিস্ফুট ; যেন বরযাত্ৰিদল গিয়াছি— আহার-বিহার আরাম-আমোদের জন্য দাবি ও উপদ্রব এতই অতিরিক্ত যে, তাহা আহবানকর্তাদের পক্ষে প্রায় প্রাণান্তকর । যদি তাহারা বলিতেন, তোমরা নিজের দেশের কাজ করিতে আসিয়াছ, আমাদের মাথা কিনিতে আস নাই – এত চৰ্বাচুযালেহ্যপেয়, এত শয়নাসন, এত লেমনেড-সোডাওয়াটার গাড়িঘোড়া, এত রসদের দায় আমাদের পরে কেন-- তবে কথাটা অন্যায় হইত না । কিন্তু কাজের দোহাই দিয়া ফাকায় থাকাটা আমাদের জাতের লোকের কম নয়! আমরা শিক্ষার চোটে যত ভয়ংকর কেজো হইয়া উঠি না কেন, তবু আহবানকারী:কে কাজের উপরে উঠিতে হইবে । কাজকেও আমরা হৃদয়ের সম্পর্ক হইতে বঞ্চি ও করিতে চাই না। বস্তুত কনফারেন্সে কেজো অংশ আমাদের চিত্তকে তেমন করিয়া আকর্ষণ করে নাই, আতি থা। যেমন করিয়াছিল । কনফারেন্স তাহার বিলাতি অঙ্গ হইতে এই দেশ! হৃদয়টুকুকে একেবারে BBBS B BD 0DB BBDS KDDStStutgK BDDBBB BBBSB BDBBBBB DBBBDBB BBBS আপনাদের দায় বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিলেন। তাহদের পরিশ্রম, কষ্ট, অর্থব্যয় যে বঁটা পরিমাণে বাড়িয়া উঠিয়ছিল, তাহা যাহারা দেখিয়াছেন, তাহারাই বুঝিবেন : কনগ্রেসের মধ্যেও যে অংশ তা৩িথা, সেই অংশই ভাবিত বর্ষীয় এবং সেই অংশই দেশের মধ্যে পুরা কাজ করে— যে অংশ কে-জো, তিন দিন মাত্র SBDBB BBBS BBBBS BBBBBS SDBB BBDS KBD BBB BDSS DBBDBBB gBBD SBB BBB BDB বিশেষরূপে ভারতবর্যের প্রকৃতিগত, তাহাকে বৃহৎভাবে অনুশীলনের উপলক্ষ ঘটিলে ভারতবর্ষের একটা বৃহৎ আনন্দের কারণ হয়। যে আতিথ্য গৃহে গৃহে আচরিত হয়, তাহাকে বৃহৎ পরিতৃপ্তি দিবার জন্য পুরাকালে বড়ো বড়ো যজ্ঞানুষ্ঠান হইত— এখন বহুদিন হইতে সে-সমস্ত লুপ্ত হইয়াছে । কিন্তু ভারতবর্ষ তাহ! ভোলে নাই বলিয়া যেই দেশের কাজের একটা উপলক্ষ অবলম্বন করিয়া জনসমাগম হইল, অমনি ভারতলক্ষ্মী তাহার বহুদিনের অব্যবহৃত পুরাতন সাধারণ-অতিথিশালার দ্বার উদঘাটন করিয়া দিলেন, তাহার যজ্ঞভাণ্ডারের মাঝখানে তাহার চিরদিনের আসনটি গ্রহণ করিলেন । এমনি করিয়া কনগ্রেস-কনফারেন্সের মাঝখানে খুব যখন বিলাতি বক্ততার ধুম ও চটপটা করতালি— সেখানেও, সেই ঘোরতর সভাস্থলেও, আমাদের যিনি মাতা, তিনি স্মিত মুখে তাহার একটুখানি ঘরের সামগ্ৰী, তাহার স্বহস্তেরচিত একটুখানি মিষ্টান্ন, সকলকে ভাঙিয়া বাটিয়া খাওয়াইয়া চলিয়া যান, আর যে কী করা হইতেছে তাহা তিনি ভালো বুঝিতেই পারেন না | মার মুখের হাসি আরো একটুখানি ফুটিত, যদি তিনি দেখিতেন, পুরাতন যজ্ঞের ন্যায়। এই-সকল আধুনিক যজ্ঞে কেবল বইপড়া