পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রায়শ্চিত্ত రి) তো তিনি মহারাজের কাছে কিছু বলতে গেলে সমস্তই উলটো হবে— মাঝের থেকে কেবল তিনিই অস্থির হয়ে উঠবেন। সুরমা । বিভা, কাদিস নে বিভা। এ কখনও ঘটতেই পারে না । এ একটা স্বপ্ন— এ সমস্তই কেটে যাবে। রামমোহনের প্রবেশ রামচন্দ্র। কী রামমোহন— কী করবি বল। রামমোহন । যতক্ষণ আমার প্রাণ অাছে ততক্ষণ— রামচন্দ্র । আরে তোর প্রাণ নিয়ে আমার কী হবে ? এখন পালাবার উপায় কী ? রামমোহন। মহারাজ, তুমি যদি ভয় না কর, আমি এক কাজ করতে পারি। রামচন্দ্র। কী বল। রামমোহন । তোমাকে পিঠে করে নিয়ে রাজবাটীর ছাতের উপর থেকে আমি খালের মধ্যে লাফিয়ে পড়তে পারি। বসন্তরায়। কী সর্বনাশ ! সে কি হয় ! রামচন্দ্র। না, সে হবে না। আর-একটা সহজ উপায় কিছু বল। রামমোহন। যুবরাজ, আমাকে গোটাকতক মোট চাদর এনে দাও– পাকিয়ে শক্ত করে দক্ষিণের দরজার সঙ্গে বেঁধে নীচে ঝুলিয়ে দিই । উদয়াদিত্য। ঠিক বলেছিস রামমোহন । বিপদের সময় সবচেয়ে সহজ কথাটাই মাথায় আসে না। চল চল । বিভা। মোহন, কোনো ভয় নেই তো ? রামমোহন। কোনো ভয় নেই মা ! আমি দড়ি বেয়ে স্বচ্ছন্দে নামিয়ে নিয়ে যাব। জয় মা কালী ! ہاشء سb অন্তঃপুর মহিষী মহিষী। কী হল বুঝতে পারছি নে তো । সকলকেই খাওয়ালুম কিন্তু মোহনকে কোথাও দেখতে পাচ্ছি নে কেন ? বামী !