পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৬ রবীন্দ্র-রচনাবলী প্রতাপাদিত্য । কিসের দরবার ? ১। আমরা যুবরাজকে চাই। প্রতাপাদিত্য । বলিস কী রে ! সকলে । ই মহারাজ, আমরা যুবরাজকে মাধবপুরে নিয়ে যাব। { প্রতাপাদিত্য । আর ফাকি দিবি ? খাজনা দেবার নামটি করবি নে ? সকলে । অন্ন বিনে মরছি যে ! প্রতাপাদিত্য। মরতে তো সকলকেই হবে। বেটার রাজার দেনা বাকি রেখে মরবি ? í ১। আচ্ছ, আমরা না খেয়েই খাজনা দেব, কিন্তু যুবরাজকে আমাদের দাও। মরি তে৷ ওঁরই হাতে মরব। প্রতাপাদিত্য । সে বড়ো দেরি নেই। তোদের সর্দার কোথায় রে ? ২ । ( প্রথমকে দেখাইয়া ) এই যে আমাদের গণেশ সর্দার । প্রতাপাদিত্য ও নয়— সেই বৈরাগীটা। ১। আমাদের ঠাকুর । তিনি তো পুজোয় বসেছেন। এখনই আসবেন । ওই যে এসেছেন । ধনঞ্জয় বৈরাগীর প্রবেশ ধনঞ্জয় । দয়া যখন হয় তখন সাধনা না করেই পাওয়া যায়। ভয় ছিল কাঙালদের দরজা থেকেই ফিরতে হয় বা । প্রভুর কৃপা হল, রাজাকে অমনি দেখতে পেলুম। (উদয়াদিত্যের প্রতি ) আর এই আমাদের হৃদয়ের রাজা। ওকে রাজা বলতে যাই, বন্ধু বলে ফেলি! উদয়াদিত্য। ধনঞ্জয় ! ধনঞ্জয় । কী রাজা ! কী ভাই ? উদয়াদিত্য । এখানে কেন এলে ? ধনঞ্জয় । তোমাকে না দেখে থাকতে পারি নে যে ! উদয়াদিত্য । মহারাজ রাগ করছেন। ধনঞ্জয় । রাগই সই। আগুন জলছে, তবু পতঙ্গ মরতে যায় । প্রতাপাদিত্য। তুমি এই-সমস্ত প্রজাদের খেপিয়েছ ? ধনঞ্জয় । খেপাই বই-কি ! নিজে খেপি, ওদেরও খেপাই, এই তো অামার কাজ ।