পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগাযোগ " هذج "গোপন কথা ! আমার কাছেও বলা চলে না ?” لحرب “बी ।” মধুসূদনের গলা কড়া হয়ে এল, বললে, “এ তোমাদের হরনগরি চাল, দাদার ইস্কুলে শেখা।” কুমু কোনো জবাব করলে না। মধুসূদন তাকিয় ছেড়ে উঠে বসল, “ওই চাল তোমার না যদি ছাড়াতে পারি তা হলে আমার নাম মধুসূদন না।” “কী তোমার হুকুম, বলে।” “সেই মোড়ক কে তোমাকে দিয়েছিল বলে ।” “হাবলু।” “হাবলু। তা নিয়ে এত ঢাকাঢাকি কেন ?” “ঠিক বলতে পারি নে।” . “আর কেউ তার হাত দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে ?” “बां ।” “তবে ?” “ওই পর্যন্তই ; আর কোনো কথা নেই।” “তবে এত লুকোচুরি কেন ?” “তুমি বুঝতে পারবে না।” কুমুর হাত চেপে ধরে ঝাকানি দিয়ে মধু বললে, “অসহ তোমার বাড়াবাড়ি।” কুমুর মুখ লাল হয়ে উঠল, শাস্ত স্বরে বললে, “কৗ চাও তুমি, বুঝিয়ে বলে। তোমাদের চাল আমার অভ্যেস নেই সে কথা মানি।” মধুসূদনের কপালের শিরদুটো ফুলে উঠল। কোনো জবাব ভেবে না পেয়ে ইচ্ছে হল ওকে মারে। এমন সময় বাইরে থেকে গলা-খাকারি শোনা গেল, সেই সঙ্গে আওয়াজ এল, “আপিসের সায়েব এসে বসে আছে।” মনে পড়ল আজি ডাইরেক্টরদের মীটিং। লজ্জিত হল যে সে এজন্যে প্রস্তুত হয় নি— সকালটা প্রায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ গেছে। এতবড়ো শৈথিল্য এতই ওর স্বভাব ও অভ্যাস -বিরুদ্ধ যে, এটা সম্ভব হল দেখে ও নিজে স্তম্ভিত । 8 o মধুসূদন চলে যেতেই কুমু খাট থেকে নেমে মেজের উপর বসে পড়ল। চিরজীবন ধরে এমন সমুদ্রে কি তাকে সাতার কাটতে হবে যার কুল কোথাও নেই ? মধুসূদন 3|Հ օ