পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আধুনিক সাহিত্য 8२¢ তরল দর্পণে যেন দিগন্ত অাবরে ; আচম্বিতে অপরূপ রূপসীর প্রতিরূপ হাসি হাসি ভাসি ভাসি উদয় অম্বরে।’ এই সারদা Co., Spirit of Beauty-4 নব-অভূদিত করুণা-বালিকামূর্তি এবং সর্বত্রব্যাপ্ত স্বন্দরী ষোড়শীমূর্তির বর্ণন সমাপ্ত করিয়া কবি গাহিয়া উঠিয়াছেন— ‘তোমারে হৃদয়ে রাখি সদানন্দ মনে থাকি, শ্মশান অমরাবতী দুই ভালো লাগে।— গিরিমালা, কুঞ্জবন, গৃহ, নাট-নিকেতন, যখন যেখানে যাই, যাও আগে অাগে ।. যত মনে অভিলাষ তত তুমি ভালবাসে, তত মনপ্রাণ ভরে আমি ভালোবাসি । ভক্তিভাবে একতানে মজেছি তোমার ধ্যানে, কমলার ধনে মানে নহি অভিলাষী।’ এই মানসীরূপিণী সাধনার ধনকে পরিপূর্ণরূপে লাভ করিবার জন্য কাতরতা প্রকাশ করিয়া কবি প্রথম সর্গ সমাপ্ত করিয়াছেন। তাহার পর-সর্গ হইতে প্রেমিকের ব্যাকুলতা। কখনও অভিমান কখনও বিরহ, কখনও আনন্দ কখনও বেদনা, কখনও ভৎসনা কখনও স্তব। দেবী কবির প্রণয়িনী রূপে উদিত হইয়া বিচিত্র মুখদু:খে শতধারে সংগীত উচ্ছসিত করিয়া তুলিতেছেন। কবি কখনও তাহাকে পাইতেছেন কখনও তাহাকে হারাইতেছেন– কখনও তাহার অভয়রুপ কখনও তাহার সংহারমূর্তি দেখিতেছেন। কখনও তিনি অভিমানিনী, কখনও বিষাদিনী, কখনও আনন্দময়ী । কবি বিষাদিনীকে বলিতেছেন— ‘অয়ি, এ কী, কেন কেন, বিষন্ন হইলে হেন— আনত আনন-শশী, আনত নয়ন,