পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(? 6.8 রবীন্দ্র-রচনাবলী বলিয়া প্রচার করিতেন, দেশের লোকের মনের গতি বুঝিয় তিনি যদি অন্ধবিশ্বাস এবং অলৌকিকবাদকে আপন পক্ষভুক্ত করিতে চেষ্টা করিতেন, তবে এই দেবামুগৃহীত বঙ্গদেশে অনায়াসেই তিনি একজন নূতন অবতার হইয়া দাড়াইতে পারিতেন। তবে র্তাহার অসংখ্য উন্মত্ত শিষ্যগণ এমন নিবিড় বৃহরচনা করিয়া আজ র্তাহাকে বেষ্টন করিয়া থাকিত যে, আমরা সাহিত্যভক্তগণ আর সহজে আমাদের গুরুর সমীপবর্তী হইতে পারিতাম না।’” আমাদের মধ্যে র্যাহারা সাহিত্যব্যবসায়ী তাহার। বঙ্কিমের কাছে যে কী চিরঋণে আবদ্ধ তাহ যেন কোনো কালে বিশ্বত না হন’ এই মন্তব্যের পরেই রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছিলেন— বঙ্কিমের প্রতিভা যদি আমাদের পথ খনন করিয়া না দিত তবে আমরা এতদিনে শিশুপাঠ গ্রন্থের প্রথমভাগ দ্বিতীয়ভাগ তৃতীয়ভাগ শেষ করিয়া বড়োজের চতুর্থ পঞ্চম ষষ্ঠ ভাগে গিয়া উপনীত হইতাম। কিন্তু বঙ্গসাহিত্য বয়ঃপ্রাপ্ত হইত না। ’ আজ আমাদের কোনো লেখা যদি বয়স্ক লোকের পাঠযোগ্য, শিক্ষিত লোকের সমাদরযোগ্য, বিদেশীয় ভাষায় অনুবাদযোগ্য হইয়া থাকে, কোনো রচনার একটি অংশও যদি সর্বদেশে ও সর্বকালে স্থায়ী হইবার উপযোগী স্বসম্পূর্ণ পরিণতি লাভ করিয়া থাকে, তাহ অনেকটা পরিমাণে বঙ্কিমচন্দ্রের প্রসাদে ।” বর্তমান মুদ্রণের ৪১০ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় ছত্রের অনুক্রমে (পরবর্তী অনুচ্ছেদের পূর্ববধি ) ‘সাধনা'য় মুদ্রিত ছিল— ‘আমাদের যে অন্তঃপুরে সূর্যকিরণ এবং বায়ু-প্রবেশ নিষেধ সেখানে তিনি নিখিলবিশ্বের আনন্দপ্রবাহ সমীরিত করিবার পথ করিয়া দিয়াছেন, এবং যে বাঙালি-হৃদয় অনেক বয়স পর্যন্ত অন্তরের মধ্যে অপরিচিত দুর্বোধ বিদেশীয় সাহিত্য সম্পূর্ণ গ্রহণে অসমর্থ হইয়া চিরজন্মের মতো অপরিপুষ্ট উপবাসকৃশ এবং হীনবল হইয়া থাকে তাতুর দ্বারদেশে তিনি খাদ্য উপনীত করিবার ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন। আমরা অপরাপর জাতির নিকট চিরদিন ঋণ গ্রহণ করিয়া অবশেষে কথঞ্চিৎ সুদ-সমেত তাহা পরিশোধপূর্বক যাহাতে নিজের নিকট আত্মসম্মান এবং পরের নিকট শ্রদ্ধার অধিকারী হইতে পারি এমন সুবিধা তিনি করিয়া দিয়াছেন। ৩ পৃ. ৪•৬, ১৯শ ও ২০শ ছত্রের श्ररुघ्ननिदिहे झिल्ल । 8 श्रृं. 8०२, ०ब इज जहेश ।