পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৬২ | -سادھ রবীন্দ্র-রচনাবলী ঢালিয়া দিব । বাংলা ভাষায় বীভৎসত অথবা হীনতার প্রতিই ঘৃণা প্রয়োগ হইয়া থাকে, কিন্তু কবি এ স্থলে ঔদাসীন্য উপেক্ষ অথবা বিরাগ অর্থে ঘৃণা ব্যবহার করিয়াছেন। ‘দিব তিক্ত ঢালি তারে'— ইহাতে বাংলার প্রয়োগনীতি রক্ষিত হয় নাই। ‘কোনো কোনো গানের পদ এতই বিপর্যস্তভাবে বিন্যস্ত হইয়াছে যে, তাহার অর্থগ্রহ চেষ্টসাধ্য হইয় পড়ে—

  • কে পারে নিবারিতে হৃদয়ের বেদনা—

সে বিনে নিজকরে দিয়াছে যে তাহারে । হৃদয়ে যে ঘোর আঁধারে ঘেরে, কে বারে যে তারে গেছে প্রাণে ঘিরি সে বিনে । * গানের ভাষায় এরূপ আসরলতা দোষ মার্জনীয় নহে। ‘গ্রন্থের দ্বিতীয় ভাগে কবি স্কচ ইংরাজি এবং আইরিশ গানের যে-সকল অনুবাদ প্রকাশ করিয়াছেন তাহার ভাষা অনেক স্থলে অত্যন্ত অদ্ভূত হইয়াছে। সেগুলি এ গ্রন্থে স্থান না পাইলে ক্ষতি ছিল না।’ • —‘আর্যগাথা, সাধনা, ১৩• ১ অগ্রহায়ণ ‘বড়ে ভালো লাগিল, এ কথাটি যতই অকৃত্রিম হউক, কথাটা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত । এতটুকু কথা লইয়া সম্পাদকি করা চলে না— তাই ওই কথাটাকে বড়ো করিয়া তুলিয়৷ কিছু স্থান জুড়িতে হইবে— নহিলে পদমর্যাদা রক্ষা হয় না। “যদি ইচ্ছামত চলিবার স্বাধীনতা থাকিত তবে কবির বচন হইতে অনর্গল উদ্ভূত করিয়া মাঝে মাঝে কেবল “বাহবা” বসাইয়া দিতাম-– তাহাতে আমাদের কোনো ক্ষমতা প্রকাশ হইত কি না, জানি না ; কিন্তু ভাব প্রকাশ হইত।’ ? মন্দ্র সমালোচনা] শেষ করিবার পূর্বে কুন্থমে কন্টক কবিতাটি সম্বন্ধে আমরা আপত্তি জানাইয়। রাখিতে চাই। ইহা বিশুদ্ধ কণ্টকমাত্র, ইহার মধ্য হইতে সুকোমল সুন্দর কুসুমটিকে কই দেখা যাইতেছে! কবির নিকট হইতে আমরা এরূপ সৌন্দর্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, এরূপ নিষ্ঠুরতা প্রত্যাশা করি নাই। " রাধার প্রতি কৃষ্ণ’ কবিতাটি এ গ্রন্থে স্থান পাইবার যোগ্য হয় নাই।’’ ২ —মক্স', বঙ্গদর্শন, ১৩১৯ কার্তিক ১• পৃ. ৪৮s, ওর ছত্রের পর। ১১ পৃ. ৪৮৯, তৃতীয় এবং চতুর্থ অনুচ্ছেদের অন্তরবর্তী। ১২ পৃ. ৪৯•, প্রবন্ধশেষে ।