পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় QVが○ [ শুভবিবাহ ] বইয়ের মধ্যে যে দুটি-একটি ক্রটি আমাদের চোখে পড়িয়াছে তাহাতে আমরা আশ্চর্য হইয়াছি। আশ্চর্য হইবার কারণ এই যে, মোটের উপর সমস্ত বইয়ের মধ্যে বানাইবার কোনো প্রয়াস দেখা যায় না, এইজন্য তাহার ব্যতিক্রম যদি কোথাও ঘটিয়া থাকে তবে সেটা আঘাত করে। বিন্দিদাসীর ভাষা লেখিক। ঠিকমত প্রকাশ করেন নাই, তাহ। তিনি বানাইতে গেছেন এবং ভুল করিয়াছেন। এই ভাষায় রাঢ়দেশ এবং পূর্ববঙ্গের খিচুড়ি পাকাইয় গেছে। মেয়েদের মুখে কোনো কোনো জায়গায় হঠাৎ সাধুভাষা এবং ইংরেজি কথা চলিয়া গেছে। এ সম্বন্ধে পুরুষসমালোচকের পক্ষে জোর করিয়া কিছু বলা চলে না। আজকালকার বাংলা বই পড়ার দিনে মেয়েদের মুখে হয়তো অনেক সংস্কৃত কথা চলিয়া গেছে— হয়তে তাহারা কখনো কখনো “বদল” না বলিয়া “পরিবর্তন” বলিলে আশ্চর্য হইবার কারণ নাই, কিন্তু “অ্যাপ্রেটিস” ইংরেজি কথাটা যে প্রচলিত হইয়াছে, ইহা অামার বিশ্বাস হয় না। অবশু দৈবাং কোনো একজন ইংরেজি-না-জানা মেয়ের পক্ষে এ কথাটা জানা সম্ভব, কিন্তু সাধারণ মেয়েদের সঙ্গে কথায়-বাত্রায় এমন অপ্রচলিত কথাটা ব্যবহার করা কি স্বাভাবিক ?১৩ —‘শুভবিবাহ, বঙ্গদর্শন, ১৩১৩ আষাঢ় সুতরাং এখনও বঙ্কিমবাবুর কৃষ্ণচরিত্র ইতিহাসের দৃঢ়ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। তিনি চেষ্টা করিয়াছেন, এবং সেই চেষ্টাই তাহার প্রধান গৌরব। কেবল চেষ্টা নহে ; তিনি যে প্রণালীতে কাজ করিয়াছেন এবং মনের যে ভাবটি রক্ষা করিয়াছেন তাহ বাঙালি পাঠকদিগের শিক্ষাবিধানের পক্ষে মহামূল্য।’ ‘ভগবদগীতায় ফললাভকে তুচ্ছ করিয়া কার্যের গৌরব কীর্তিত হইয়াছে ; অামাদের বর্তমান সমালোচ্য [কৃষ্ণচরিত্র] গ্রন্থেও কী প্রমাণ হইয়াছে বা না হইয়াছে তাহাকে অপেক্ষাকৃত তুচ্ছ জ্ঞান করিয়া, যে মূলমন্ত্রে এই গ্রন্থখানি প্রাণশক্তি লাভ করিয়াছে তাহাকেই শিরোধার্য করিয়া লইব ॥১৭ © —'কৃষ্ণচরিত্র, সাধনা, ১৩• ১ মাঘ “এইজন্য বর্তমান প্রবন্ধলেখক যখন বাল্যাবস্থায় বিহারীলালের কাব্যসৌন্দর্যে মুগ্ধ হইয় তাহাকে গুরু স্বীকার করিয়া লইয়াছিল এবং তাহার অনুকরণে প্রবৃত্ত ১৩ পৃ. ৪৯৪, প্রবন্ধশেষে । ১৪ পৃ. ৪৭১, সর্বশেষ অনুচ্ছেদের পূর্বে। ১৫ পৃ. ৪৪৭, ৮ম ছত্রের পর ।