পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক যা চিরকালের তা আজ যদি-বা ঢাকা পড়ে কাল উঠবে জেগে । তখন মানুষ আবার বলবে খুশি হয়ে, १ांद्र बनीं । তেতাল্লিশ শ্ৰীমান অমিয়চন্দ্র চক্রবর্তী কল্যাণীয়েযু পঁচিশে বৈশাখ চলেছে। জন্মদিনের ধারাকে বহন করে মৃত্যুদিনের দিকে । সেই চলতি আসনের উপর বসে কোন কারিগর গাথছে ছোটাে ছোটাে জন্মমৃত্যুর সীমানায় নানা রবীন্দ্ৰনাথের একখানা মালা । রথে চলে চলেছে কাল, পদাতিক পথিক চলতে চলতে পাত্র তুলে ধরে, পায় কিছু পানীয় ; পান। সারা হলে পিছিয়ে পড়ে অন্ধকারে ; চাকার তলায় ভাঙা পাত্র ধুলায় যায় ওঁড়িয়ে । তার পিছনে পিছনে নতুন পাত্র নিয়ে যে আসে ছুটে, পায় নতুন রস, একই তার নাম, কিন্তু সে বুঝি আর-একজন । একদিন ছিলেম। বালক । কয়েকটি জন্মদিনের ছাদের মধ্যে সেই যে-লোকটার মূর্তি হয়েছিল। গড়া। তোমরা তাকে কেউ জানি না । সে সত্য ছিল যাদের জানার মধ্যে । কেউ নেই তারা । সেই বালক না আছে আপনি স্বরাপে, না আছে কারো স্মৃতিতে । সে গেছে চলে তার ছোটো সংসারটাকে নিয়ে ; তার সেদিনকার কান্নাহাসির প্রতিধ্বনি আসে না কোনাে হাওয়ায়। У ОО