পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চাশ বছরের কিশোর গুণী নন্দলাল বসুর প্রতি সত্তর বছরের প্রবীণ যুবা রবীন্দ্রনাথের আশীর্ভাষণ নন্দনের কুঞ্জতলে রঞ্জনার ধারা, জন্ম-আগে তাহার জলে তোমার স্নান সারা । অঞ্জন সে কী মধুরাতে লাগালো কে যে নয়নপাতে, সৃষ্টি-করা দৃষ্টি তাই পেয়েছে আঁখিতারা। এনেছে তব জন্মডাল অজর ফুলব্রাজি, ब्रॉटल-जैीलालिशन-छद्मा *ब्रिछठन जांछि । অন্সরীর নৃত্যগুলি তুলির মুখে এনেছ তুলি, রেখার বাঁশি লেখায় তব উঠিল সুরে বাজি । যে মায়াবিনী আলিম্পনা সবুজে নীলে ললে কখনো আঁকে কখনো মোছে অসীম দেশে কালে, মলিন মেঘে সন্ধ্যাকাশে রঙিন উপহাসি যে হাসে রঙ জাগানো সোনার কাঠি সেই হেঁয়ালো ভালে। বিশ্ব সদা তোমার কাছেইশারা করে কত, তুমিও তারে ইশারা দাও আপন মনোমত । বিধির সাথে কেমন ছলে নীরবে তব আলাপ চলে, সৃষ্টি বুঝি এমনিতরোইশরা অবিরত। ধূপছায়ার চপল মায়া করেছ তুমি জয়। তব আঁকনি-পটের ‘পরে জানি গো চিরদিনের তরে নটরাজের জটার রেখা জড়িত হয়ে রায় । চিরবালক ভুবনছবি আঁকিয়া খেলা করে, তাহারি তুমি সমবয়সীমাটির খেলাঘরে। তোমার সেই তরুণতাকে বয়স দিয়ে কৰ্ভুকি ঢাকে, অসীম-পানে ভাসাও প্ৰাণ খেলার ভেল-’পরে ।