পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So 8 রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী তার ভাঙা খেলনার টুকরোগুলোও দেখি নে ধুলোর পরে। সেদিন জীবনের ছোটো গবাক্ষের কাছে সে বসে থাকত বাইরের দিকে চেয়ে । उाद्ध विश् छिल সেইটুকু ফাকের বেষ্টনীর মধ্যে। তার অবোধ চোখ-মেলে চাওয়া ঠেকে যেত বাগানের পাচিলটাতে সারি সারি নারকেল গাছে । সন্ধেবেলাটা রূপকথার রসে নিবিড়, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মাঝখানে বেড়া ছিল না। উচু, মনটা এদিক থেকে ওদিকে ডিঙিয়ে যেত অনায়াসেই প্ৰদোষের আলো-আঁধারে বস্তুর সঙ্গে ছায়াগুলো ছিল জড়িয়ে, দুইই ছিল একগোত্রের। সে-কয়দিনের জন্মদিন একটা দ্বীপ, কিছুকাল ছিল আলোতে, কাল-সমুদ্রের তলায় গেছে ডুবে । ভাটার সময় কখনো কখনো দেখা যায় তার পাহাড়ের চুড়া, দেখা যায় প্রবালের রক্তিম তটরেখা । পঁচিশে বৈশাখ তার পরে দেখা দিল আর-এক কালান্তরে, ফায়ুনের প্রত্যুষে রঙিন আভার অস্পষ্টতায় । তরুণ যৌবনের বাউল সুর বেঁধে নিল আপনি একতারাতে, ডেকে বেড়াল নিরুদ্দেশ মনের মানুষকে অনিৰ্দেশ্য বেদনার খ্যাপা সুরে । সেই শুনে কোনো-কোনোদিন বা । বৈকুণ্ঠে লক্ষ্মীর আসন টলেছিল, তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন র্তার কোনো কোনো দূতীকে পলাশবনের রঙমাতাল ছায়াপথে কাজ-ভোলানো সকাল-বিকালে ।