পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক তখন কানে কানে মৃদু গলায় তাদের কথা শুনেছি, কিছু বুঝেছি, কিছু বুঝি নি । দেখেছি কালো চোখের পক্ষ্মরেখায় জলের আভাস ; দেখেছি কম্পিত অধরে নিমীলিত বাণীর বেদনা ; শুনেছি কণিত কঙ্কণে চঞ্চল আগ্রহের চকিত কংকার । তারা রেখে গেছে আমার অজানিতে পচিশে বৈশাখের প্ৰথম ঘুমভাঙা প্ৰভাতে নতুন ফোটা বেলফুলের মালা ; ভোরের স্বপ্ন 辱 তারি গন্ধে ছিল বিহবল ৷ সেদিনকার জন্মদিনের কিশোর জগৎ । ছিল রূপকথার পাড়ার গায়ে-গায়েই, জােনা না-জানার সংশয়ে । সেখানে রাজকন্যা আপন এলোচুলের আবরণে কখনো বা ছিল ঘুমিয়ে, কখনো বা জেগেছিল চমকে উঠে সোনার কাঠির পরশ লেগে । দিন গেল । সেই বসন্তী রঙের। পঁচিশে বৈশাখের রঙকরা প্ৰাচীরগুলো পড়ল ভেঙে { যে পথে বকুলবনের পাতার দোলনে ছায়ায় লাগত কঁাপিন, হাওয়ায় জগত মর্মর, বিরহী কোকিলের কুহুরবের মিনতিতে আতুর হত মধ্যাহ্ন, মৌমাছির ডানায় লাগত গুঞ্জন সেই তৃণ-বিছানো বীথিকা পৌছল এসে পাথরে-বাধানো রাজপথে । সেদিনকার কিশোরক সুর সেধেছিল যো-একতারায় একে একে তাতে চড়িয়ে দিল তার পর নতুন তার । SO6