পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y Obr তার পরে দাও আমাকে ছুটি । জীবনের কালো-সাদা সূত্রে গাথা নির্জন নামহীন নিভৃতে, সুর মিলিয়ে নিতে দাও এক চরম সংগীতের গভীরতায় । চুয়াল্লিশ আমার শেষবেলাকার ঘরখানি বানিয়ে রেখে যাব মাটিতে, তার নাম দেব শ্যামলী । ও যখন পড়বে ভেঙে সে হবে ঘুমিয়ে পড়ার মতো, মাটির কোলে মিশবে মাটি ; ভাঙা থামে নালিশ উচু করে বিরোধ করবে না ধরণীর সঙ্গে ; ফাটা দেয়ালের পাজার বের করে। তার মধ্যে বাধতে দেবে না। মৃতদিনের প্রেতের বাসা । সেই মাটিতে গাথাব আমার শেষ বাড়ির ভিত যার মধ্যে সব বেদনার বিস্মৃতি, সব কলঙ্কের মার্জনা, যাতে সব বিকার সব বিদুপকে ঢেকে দেয় দূর্বাদলের সিন্ধ সীেজন্যে ; যার মধ্যে শত শত শতাব্দীর রক্তলোলুপ হিংস্র নিৰ্ঘোষ গেছে নিঃশব্দ হয়ে । সেই মাটির ছাদের নীচে বসব আমি রোজ সকালে শৈশবে যা ভরেছিল। আমার গােটইবাধা চাদরের কোনা এক-একমুঠো চাপা আর বেল ফুলে । মাঘের শেষে যার আমের বোল দক্ষিণের হাওয়ায় অলক্ষ্য দূরের দিকে ছড়িয়েছিল ব্যথিত হেঁীবনের আমন্ত্ৰণ । ,