পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক আমি ভালোবেসেছি বাংলাদেশের মেয়েকে ; যে-দেখায় সে আমার চোখ ভুলিয়েছে। তাতে আছে যেন এই মাটির শ্যামল অঞ্জন, ওর কচি ধানের চিকণ আভা । তাদের কালো চোখের করুণ মাধুরীর উপমা দেখেছি ওই মাটির দিগন্তে নীল বনসীমায় গোধূলির শেষ আলোটির e নিমীলনে । প্রতিদিন আমার ঘরের সুপ্ত মাটি সহজে উঠবে জেগে ভোরবেলাকার সোনার কাঠির প্ৰথম ছোওয়ায় ; তার চোখ-জুড়ানো শ্যামলিমায় স্মিত হাসি কোমল হয়ে ছড়িয়ে পড়বে। Desi(\OS (MS নিদ্রাহারা মিতালিতে । চিরদিন মাটি আমাকে ডেকেছে৷ পদ্মার ভাঙনলােগা গাঙশালিকের হাজার খোপের বাসায় ; সর্ষে তিসির দুইরঙা খেতে গ্রামের সরু বাকা পথের ধারে, পুকুরের পাড়ির উপরে । আমার দু-চোখ ভরে মাটি আমায় ডাক পাঠিয়েছে শীতের ঘুঘুডাকা দুপুরবেলায়, রাঙা পথের ওপারে, যেখানে শুকনো ঘাসের হলদে মাঠে চরে বেড়ায় দুটি-চারটি গোরু নিরুৎসুক আলস্যে, লেজের ঘায়ে পিঠের মাছি তাড়িয়ে ; যেখানে সাখিবিহীন তালগাছের মাথায় সঙ্গী-উদাসীন নিভৃত চিলের বাসা। আজ আমি তোমার ডাকে ধরা দিয়েছি। শেষবেলায় । s. Os