পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্মৃতিপাথেয় একদিন কোন তুচ্ছ আলাপের ছিন্ন অবকাশে সে কোন অভাবনীয় স্মিতহাসে অন্যমন আত্মভোলা যৌবনেরে দিয়ে ঘন দোলা মুখে তব অকস্মাৎ প্রকাশিল কী অমৃত-রেখা, কতু যার পাই নাই দেখা, দুর্লভ সে প্রিয় অনির্বাচনীয় । যে মহা-অপরিচিত এক পালকের লাগি হয়। সচকিত গভীর অন্তরতর প্রাণে কোন দূর বন্যান্তের পথিকের গানে, সে অপূর্ব আসে ঘরে পথহারা মুহুর্তের তরে বৃষ্টিধারামুখরিত নির্জন প্রবাসে সন্ধ্যাবেলা যুথিকার সকরুণাসিন্ধ গন্ধশ্বাসে, চিত্তে রেখে দিয়ে গেল চিরস্পর্শস্বীয় তাহারি স্বলিত উত্তরীয় । সে বিস্মিত ক্ষণিকেরে পড়ে মনে কোনোদিন অকারণে ক্ষণে ক্ষণে শীতের মধ্যাহ্নকালে গোরু-চরা শস্যরিক্ত মাঠে চেয়ে চেয়ে বেলা যবে কাটে । সঙ্গহারাসায়াহ্নের অন্ধকারে সে স্মৃতির ছবি সূর্যাস্তের পার হতে বাজায় পূরবী। পেয়েছি যে-সব ধন যার মূল্য আছে ফেলে যাই পাছে । সেই যার মূল্য নাই, জানিবে না কেও সঙ্গে থাকে অখ্যাত পাথেয় । শেষ সপ্তকের দুই-সংখ্যক কবিতা তুলনীয়।