পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জোড়ার্সাকো ৫ এপ্রিল ১৯৩৪ রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী থাক মোর তরে আপক ধানের খেত অব্রানের দীপ্ত দ্বিপ্রহরে ; ; সোনার তরঙ্গদোলে মুগ্ধ দৃষ্টি যার পরে ভেসে যায় চলে কথাহীন ব্যথাহীন চিন্তাহীন সৃষ্টির সাগরে, যেথায় অদৃশ্য সাথি লীলাভরে সারাদিন ভাসায় প্রহর যত খেলার নীেকার মতো । i দূরে চেয়ে রব আমি স্থির ধরণীর বিতীর্ণবক্ষের কাছে যেথা শাল গাছে সহস্র বর্ষের প্রাণ সমাহিত রয়েছে। নীরবে: নিন্তব্ধ গীেরবে । কেটে যাক আপনা-ভোলানো মোহ, কেটে যাক আপনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, প্রতি বৎসরের আয়ুকর্তব্যের আবর্জনাভার না করুক তৃপাকারনির্ভাবনা তর্কহীন শাস্ত্ৰহীন পথ বেয়ে বেয়ে যাই চলে অর্থহীন গান গেয়ে গেয়ে । প্ৰাণে আর চেতনায় এক হয়ে ক্রমে অনায়াসে মিলে যাব মৃত্মমহাসাগরসংগমে, আলো-আঁধারের জন্দ্ব হয়ে ক্ষীণ গোধূলি নিঃশব্দ রাত্রে যেমন অতলে হয় লীন । চার-সংখ্যক কবিতা তুলনীয় দুঃখ যেন জাল পেতেছে দুঃখ যেন জাল পেতেছে চারদিকে ; চেয়ে দেখি যার দিকে সবাই যেন দুগ্রহদের মন্ত্রণায় গুমারে কাদে যন্ত্রণায় । লাগছে মনে এই জীবনের মূল্য নেই, আজকে দিনের চিত্তদাহের তুল্য নেই। যেন এ দুখ অন্তহীন, ঘরছাড়া মন ঘুরবে কেবল পন্থহীন।