পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

à NV) রবীন্দ্র-রচনাবলী আমি এই যে সবার সামান্য পথ, পায়ে ইটার গলি সে পথ দিয়ে আমি চলি রাতের আঁধার দিনের জ্যোতিতে । প্রতি তুচ্ছ মুহূর্তেরই আবর্জনা করি আমি জড়ো, কারো চেয়ে নইকো আমি বড়ো । চলতে পথে কখনো বা বিধছে কঁটা পায়ে, লাগছে ধুলো গায়ে ; দুর্বািসনার এলোমেলোহাওয়া, তারি মধ্যে কতই চাওয়া পাওয়া, কতই বাহারানো, খেয়া ধরে ঘাটে আঘটায় নদী-পারানো । এমনি করে দিন কেটেছে, হবে সে-দিন সারা বেয়ে সর্বসাধারণের ধারা। শুধাও যদি সবশেষে তার রইল কী ধন বাকি, স্পষ্ট ভাষায় বলতে পারি তা কি । জানি, এমন নাই।কিছু যা পড়বে কারো চোখে, স্মরণ-বিস্মরণের দোলায় দুলবে বিশ্বলোকে । নয়। সে মানিক, নয় সে সোনাযায় না। তারে যাচাই করা, যায় না। তারে গোনা । এই দেখো-নাশীতের রোদে দিনের স্বপ্নে রোনা সেগুন-বনে সবুজ-মেশা সোনা, শজনে গাছে লাগল ফুলের রেশ, হিমঝুরির হৈমন্তী পালা হয়েছে নিঃশেষ । বেগনি ছায়ার ছোওয়া-লাগা স্তন্ধ বটের শাখা ঘোর রহস্যে ঢাকা । ফলসা গাছের ঝরা পাতা গাছের তলা জুড়ে श्ॉ९शeझांश bभक वgांश ७g । গোরুর গাড়ি মেঠো পথের তলে উড়তি ধুলোয় দিকের আঁচল ধূসর করে চলে। নীরবতার বুকের মধ্যখানে দূর অজানার বিধুর বঁশি ভৈরবী সুর আনে। কাজভোলা এই দিন নীল আকাশে পাখির মতো নিঃসীমে হয় লীন । এরই মধ্যে আছি। আমি, সব হতে এই দামি ।