পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ज९6एछका কেননা আজ বুকের কাছে যায় না জানা, । আরেকটি সেই দোসর আমি উড়িয়ে চলে বিরাট তাহার ডানা Vro uro অন্তবিহীন ইতিহাসের পথে । ওই যে আমার কুয়োতলার কাছে সামান্য ওই অ্যামের গাছে কখনো বা রৌদ্র খেলায়, কিছু শ্রাবণধারা, সারা বরষ থাকে। আপনহারা সাধারণ এই অরণ্যানীর সবুজ আবরণে, মাঘের শেষে অকারণে ক্ষণকালের গোপন মন্ত্রবলে গভীর মাটির তলে শিকড়ে তার শিহর। লাগেশাখায় শাখায় হঠাৎ বাণী জাগে ‘আছি, আছি, এই যে আমি আছি । পুম্পোচ্ছাসে ধায় সে বাণীস্বৰ্গলোকের কাছাকাছি দিকে দিগন্তরে । চন্দ্ৰ সূৰ্য তারার আলো তারে বরণ করে। এমনি করেই মাঝে মাঝে সোনার কাঠি আনে -কীভূপ্রিয়ার মুগ্ধ চোখে,কিভু কবির গানে অলস মনের শিয়রেতে কে সে অন্তৰ্যামী ; নিবিড় সত্যে জেগে ওঠে সামান্য এই আমি । যে আমিরে ধূসর ছায়ার প্রতিদিনের ভিড়ের মধ্যে দেখা সেই আমিরে এক নিমেষের আলোয় দেখি একের মধ্যে একা । সে-সব নিমেষ রায় কি না রয় কোনোখানে, কেউ তাহদের জানে বা না-ই জানে, তবু তারা জীবনে মোর দেয় তো আনি ক্ষণে ক্ষণে পরম বাণী বিশ্বচরাচরের মর্মমাঝে ‘আছি। আমি আছি যে বাণীতে উঠে নাচি মহাগগন-সভাঙ্গনে আলোক-অনুসরী তারার মাল্য পরি । ছত্রিশ-সংখ্যক কবিতা তুলনীয়। » Sዒ