পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 द्रदीक्ष-द्रष्नावली যতীন। মণি কাল কি এসেছিল। আমার পড়ে পড়ছে না। মাসি। এসেছিল। তুমি ঘুমিয়ে ছিলে। শিয়রের কাছে অনেকক্ষণ বসে বসে যতীন। আশ্চর্য! আমি ঠিক সেই সময়ে স্বপ্ন দেখছিলুম, যেন মণি আমার ঘরে আসতে চাচ্ছে- দরজা অল্প একটু ফাক হয়েছে- ঠেলাঠেলি করছে কিন্তু কিছুতেই সেইটুকুর বেশি আর খুলছে না। কিন্তু মাসি, তোমরা একটু বাড়াবাড়ি করছি। ওকে দেখতে দাও যে সন্ধেবেলাকার আলোর মতো কেমন অতি সহজে আমার ধীরে ধীরে মাসি। বাবা, তোমার পায়ের উপর এই পশমের শালটা টেনে দিই,- পায়ের তোলো ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। যতীন। না মাসি, গায়ে কিছু দিতে ভালো লাগছে না। মাসি। জানিস যতীন, এ শালটা মণির তৈরি- এতদিন রাত জেগে জেগে তোমার জন্যে তৈরি করছিল । কাল শেষ করেছে। যতীন শালটা লইয়া দুই হাত দিয়া একটু নাড়াচাড়া করিল। মাসি তার পায়ের উপর টানিয়া দিলেন।] যতীন । আমার মনে হচ্ছে যেন ওটা হিমি সেলাই করছিল। মণি তো সেলাই ভালোবাসে না- ও কি পারে । মাসি। ভালোবাসার জোরে মেয়েমানুষ শেখে। হিমি ওকে দেখিয়ে দিয়েছে বৈকি। ওর মধ্যে ভুল সেলাই অনেক আছে যতীন। হিমি, তুই পাখা রাখ, ভাই। আয় আমার কাছে বােস। আজই পাঁজি দেখে তোকে বলে দেব কবে গৃহপ্রবেশের লগ্ন আসবে। হিম । থাক দাদা, ও সব কথাযতীন। আমি উপস্থিত থাকতে পারব না- সেই মনে করে বুঝি- আমি থাকব বােন, সেদিন এ বাড়ির হাওয়ায় হাওয়ায় আমি থাকিব- তোরা বুঝতে পারবি। যে গানটা গাবি সে আমি ঠিক করে রেখেছি।-- সেই, অগ্নিশিখা- একবার শুনিয়ে দে হিমির গান অগ্নিশিখা, এসো, এসো, আনো আনো আলো দুঃখে সুখে শূন্য ঘরে পুণদীপ জ্বলো। আনাে শক্তি,আনাে দীপ্তি, . আনো শান্তি, আনো তৃপ্তি, আনো স্নিগ্ধ ভালোবাসা, আনো নিত্য ভালো । এসো শুভ লগ্ন বেয়ে এসো হে কল্যাণী । আনো শুভ সুপ্ত,আনো छद्मशशनेि । দুঃখরাতে মাতৃবেশে জেগে থাকো নির্নিমেযে, উৎসব-আকাশে তব শুভ্ৰ হাসি ঢালো । যতীন। গানে কোন উৎসবের কথাটা আছে জানিস, হিমি ? হিমি । জানি নে । .