পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ বর্ষণ $oፃ নটরাজ। গানের স্রোতে হাল ছেড়ে দিন, সুগম হবে। অনুভব করছেন কি প্রাণের আকাশের পূব হাওয়া মুখর হয়ে উঠল। বিরহের অন্ধকার ঘনিয়েছে। ওগো সব গীতরসিক, আকাশের বেদনার সঙ্গে হৃদয়ের রাগিণীর মিল করো। ধরে ধরো, ঝরে ঝরে ঝরো। ঝরে ঝরে ঝরো ভাদর বান্দর, বিরহকাতর শর্বরী। ফিরিছে। এ কোন অসীম রোদন কানন কানন মর্মরি। আমার প্রাণের রাগিণী আজি এ গগনে গগনে উঠিল বাজিয়ে । হৃদয় একি রে ব্যাপিল তিমিরে সমীরে সমীরে সঞ্চারি । নটরাজ। শ্রাবণ ঘরছাড়া উদাসী। আলুথালু তাঁর জটা, চােখে তার বিদ্যুৎ। অশ্রান্ত ধারায় একতারায় একই সুর সে বাজিয়ে বাজিয়ে সারা হল। পথহারা তার সব কথা বলে শেষ করতে পারলে না। ঐ শুনুন মহারাজ মেঘমাল্লার - কোথা যে উধাও হল মোর প্রাণ উদাসী আজি ভরা বাদরে। ঘন ঘন গুরু গুরু। গরজিছে, ঝরে ঝরো নামে দিকে দিগন্তে জলধারা, মন ছুটে শূন্যে শূন্যে অনন্তে অশান্ত বাতাসে । রাজা । পুব দিকটা আলো হয়ে উঠল যে, কে আসে ? নটরাজ। শ্রাবণের পূর্ণিমা। রাজকবি । শ্রাবণের পূর্ণিমা ! হাঃ হাঃ হাঃ । কালো খাপটাই দেখা যাবে, তলোয়ারটা রইবে ইশারায়। রাজা। নটরাজ, শ্রাবণের পূর্ণিমায় পূর্ণতা কোথায় ? ও তো বসন্তের পূর্ণিমা নয়। নটরাজ। মহারাজ, বসন্তপূর্ণমাই তো অপূর্ণ। তাতে চোখের জল নেই কেবলমাত্র হাসি। শ্রাবণের শুরু । রাতে হাসি বলছে আমার জিত, কান্না বলছে আমার । ফুল ফোঁটার সঙ্গে ফুল ঝরার মালাবদল। ওগো কলম্বর, পূর্ণিমার ডালাটি খুলে দেখো, ও কী আনলে। আজ শ্রাবণের পূর্ণিমাতে কী এনেছিসবল, হাসির কানায় কানায় ভরা কোেনানয়নের জল । বাদল হাওয়ার দীর্ঘশ্বাসে ঘূখীবনের বেদন আসে, ফুল-ফোটানের খেলায় কেনফুল-ঝরানোরহিল। কী আবেশ হেরিটোদের চোখে, ফেরে। সে কোন স্বপনলোকে । মানবসেৱয় পথের ধারে, জানেনা সে পাবে করে, vep:NSERVIeRiveç qiev Squ |