পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

QSS রবীন্দ্র-রচনাবলী শ্যামল শোভন শ্রাবণ-হায়া,নাইবা গেলে সজল বিলোল আঁচল মেলে । পূব হাওয়া কয়, ‘ওরা যে সময় গেল চলে, শরৎ বলে, “ভয় কী সময় গেল বলে, বিনা কাজে আকাশমাঝে কাটবে বেলা অসময়ের খেলা খেলে |’ । কালো মেঘের আর কি আছে দিন । ও যে হল সাথিহীন । পূব হাওয়া কয়, কালোর এবার যাওয়াই ভালো, শরৎ বলে, “মিলবে যুগল কালোয় আলো, কালিমা ওর ঘুচিয়ে ফেলে |’ নটরাজ। শরতের প্রথম প্রত্যুষে ঐ যে শুকতারা দেখা দিল অন্ধকারের প্রান্তে। মহারাজ। দয়া করবেন। কথা কবেন না । রাজা। নটরাজ, তুমিও তো কথা কইতে কসুর কর না। নটরাজ । আমার কথা যে পালারই অঙ্গ । রাজা । আর আমার হল তার বাধা । তোমার যদি হয় জলের ধারা, আমার নাহয় হল নুড়ি, দুই মিলেই তো ঝরনা। সৃষ্টিতে বাধা যে প্রকাশেরই অঙ্গ। যে বিধাতা রসিকের সৃষ্টি করেছেন অরসিক তার সৃষ্টি, সেটা রসেরই প্রয়ােজনে। নটরাজ। এবার বুঝেছি আপনি ছদ্মারসিক, বাধার ছলে রস নিংড়ে বের করেন। আর আমার ভয় রই না । গীতাচাৰ্য গান ধরে । দেখো দেখো শুকতারা আঁখি মেলি চায় প্ৰভাতের কিনারায় । ডাক দিয়েছে রে শিউলি ফুলেরে V. V V ও যে কার লাগি জ্বলে দীপ, কার ললাটে পরায় টিপ, ও যে কার আগমনী গায় V VO VE | জাগো জাগো, সখী, কাহার আশায় আকাশ উঠিল পুলকি।। মালতীর বনে বনে ওই শুন ক্ষণে ক্ষণে কহিছে শিশিরবায় আয় আয় আয় । নটরাজ। ঐ দেখুন শুকতারার ডাক পৃথিবীর বনে পীচেছে। আকাশের আলোকের যে লিপি সে লিপিটিকে ভাষান্তরে লিখে দিল ঐ শেফালি। সে লেখার শেষ নেই, তাই বারে বারেই অশ্রান্ত ঝরা আগ ফোঁটা। দেবতার বাণীকে যে এনেছে মর্তে, তার ব্যথা কজন বোঝে ? সেই করুণার গান সন্ধ্যার সু.ে (VK 63 || 峰