পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sbro রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী মুখের গুণ্ঠন কেন হিমের ধূমলবৰ্ণে আঁকা । SR ভরেছ, হেমন্তলক্ষ্মী, ধরার অঞ্জলি পক ধানে । দিগঙ্গনে দিগঙ্গনা এসেছিল ভিক্ষার সন্ধানে শীতরিক্ত অরণ্যের শূন্যপথে । বলেছিল ডাকি, “কোথায় গো, অন্নপূর্ণ, ক্ষুধার্তেরে অন্ন দিবে না কি । শান্ত করো প্ৰাণের ক্ৰন্দন, চাও প্ৰসন্ন নয়নে ধরার ভাণ্ডার পানে ৷” শুনিয়া লুকায়ে হাস্যখানি, লুকায়ে দক্ষিণ হস্ত দক্ষিণা দিয়েছ তুমি আনি, ভূমিগর্ভে আপনার দাক্ষিণ্য ঢাকিলে সাবধানে । স্বৰ্গলোক স্নান করি প্রকাশিলে ধরার বৈভব। কোন মায়ামন্ত্রগুণে, দরিদ্রের বাড়ালে গৌরব । আমরার স্বর্ণ নামে ধরণীর সোনার আত্মানে । তোমার অমৃত-নৃত্য, তোমার অমৃতম্বিন্ধ হাসি কখন ধূলির ঘরে সঞ্চিত করিলে রাশি রাশি, আপনার দৈন্যচ্ছলে পূর্ণ হলে আপনার দানে । দীপালি হিমের রাতে ওই গগনের দীপগুলিরে হেমন্তিকা করল গোপন আঁচল ঘিরে । ঘরে ঘরে ডাক পাঠালো“দীপালিকায় জ্বালাও আলো, জ্বালাও আলো, আপনি আলো, সাজাও আলোয় ধরিত্রীরে ।” শূন্য এখন ফুলের বাগান, দোয়েল কোকিল গাহে না গান, কাশ ঝরে যায় নদীর তীরে । যাক অবসাদ বিষাদ কালো দীপালিকায় জ্বালাও আলো, জ্বালাও আলো, আপনি আলো, শুনাও আলোর জয়বাণীরে ।