পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शैदनयूष्टि ses ‘অন্তরতর অন্তরতম তিনি যে- ভুলো না রে তীয়।' এই গানটি তিনি পিতৃদেবকে শোনাইতে শোনাইতে আবেগে টােকি ছাড়িয়া উঠিয়া দাঁড়াইতেন। সেতারে ঘন ঘন ঝংকার দিয়া একবার বলতেন- ‘অন্তরতর অন্তরতম তিনি যে,- আবার পালটাইয়া লইয়া ঠাহীর মুখের সম্মুখে হত নড়িয়া বলিতেন- ‘অন্তরতর অন্তরতম তুমি যে ” এই বৃদ্ধ যেদিন আমার পিতার সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎকরিতে আসেন, তখন,* পিতৃদেব চুড়ায় গঙ্গার ধারের বাগানে ছিলেন। শ্ৰীকণ্ঠবাবু তখন অন্তিম রোগে আক্রান্ত, তাহার উঠিবার শক্তি ছিল না, চোখের পাতা আঙুল দিয়া তুলিয়া চোখ মেলিতে হইত। এই অবস্থায় তিনি তঁহার কন্যার শুশ্বাধীনে বীরভূমের রায়পুর হইতে চুড়ায় আসিয়াছিলেন। বহুকষ্ট্রে একবার মাত্র পিতৃদেবের পদধূলি লইয়া চুড়ার বাসায় ফিরিয়া আসেন ও অল্পদিনেই তাহার মৃত্যু হয়”। তঁহার কন্যার কাছে শুনিতে পাই, আসন্ন মৃত্যুর সময়েও কী মধুর তব করুণা, প্রভো’ গানটি গাহিয়া তিনি চিরুনীরবতা লাভ করেন। বাংলশিক্ষার অবসান আমরা ইস্কুলে তখন ছাত্রবৃত্তি ক্লাসের এক ক্লাস নীচে বাংলা পড়িতেছি। বাড়িতে আমরা সে-ক্লাসের বাংলা পাঠ্য ছাড়াইয়া অনেকদূর অগ্রসর হইয়া গিয়াছি। বাড়িতে আমরা অক্ষয়কুমার দত্তের পদার্থবিদ্যা শেষ করিয়াছি, মেঘনাদবধও পড়া হইয়া গিয়াছে। পদার্থবিদ্যা পড়িয়ছিলাম। কিন্তু পদার্থের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না, কেবল পুঁথির পড়া-বিদ্যাও তদনুরূপ হইয়াছিল। সে সময়টা সম্পূর্ণনষ্ট হইয়াছিল। আমার তো মনে হয়, নষ্ট হওয়ার চেয়ে বেশি ; কারণ, কিছু না করিয়া যে সময় নষ্ট হয় তাহার চেয়ে অনেক বেশি লোকসান করি কিছু করিয়া যে সময়টা নষ্ট করা যায়। মেঘনাদবধকাব্যটিও আমাদের পক্ষে আরামের জিনিস ছিল না। যে জিনিসটা পাতে পড়লে উপাদেয় সেইটাই মাথায় পড়লে গুরুতর হইয়া উঠিতে পারে। ভাষা শিখাইবার জন্য ভালো কাব্য পড়াইলে তরবারিদিয়া ক্ষৌরি করাইবার মতাে হয়- তরবারির তো অমর্যাদা হয়ই, গণ্ডদেশেরও বড়ো দুৰ্গতি ঘটে। কাব্য-জিনিসটাকে রসের দিক হইতে পুরাপুরি কাব্য হিসাবেই পড়ানো উচিত, তাহার দ্বারা ফাকি দিয়া অভিধান ব্যাকরণের কাজ চালাইয়া লওয়া কখনোই সরস্বতীর তুষ্টিকর নহে। এই সময়ে আমাদের নির্মাল স্কুলের পালা হঠাৎ শেষ হইয়া গেল। তাহার একটু ইতিহাস আছে। আমাদের বিদ্যালয়ের কোনো-একজন শিক্ষক কিশোরীমোহন মিত্রের রচিত আমার পিতামহের।” এক ইংরেজি জীবনী’ পড়িতে চাহিয়াছিলেন। আমার সহপাঠী ভাগিনেয় সত্যপ্রসাদ সাহসে ভর করিয়া পিতৃদেবের নিকট হইতে সেই বইখানি চাহিতে গিয়াছিল। সে মনে করিয়াছিল, সর্বসাধারণের সঙ্গে সচরাচর যে প্রকৃত বাংলায় কথা কহিয়া থাকি সেটা তঁহার কাছে চলিবে না। সেইজন্য সাধু গীড়ীয় ভাষায় এমন অনিন্দনীয় রীতিতে সে বাক্যবিন্যাস করিয়াছিল যে, পিতা বুঝিলেন, আমাদের বাংলাভাষা অগ্রসর হইতে । হইতে শেষকালে নিজের বাংলাত্বকেই প্রায় ছাড়াইয়া যাইবার জো করিয়াছে। পরদিন সকালে যখন যথানিয়মে দক্ষিণের বরাদ্দায় টেবিল পাতিয়া দেয়ালে কালো বাের্ডবুলাইয়া নীলকমলবাবুর কাছে পড়িতে। বসিয়াছি, এমন সময় পিতার তেতালার ঘরে আমাদের তিনজনের ডাক পড়িল। তিনি কহিলেন, “আজি হইতে তোমাদের আর বাংলা পড়বার দরকার নাই।” খুশিতে আমাদের মন নচিতে লাগিল। » एानि ०२&» ' २ (शाडिब्रिक्षनाथ ग्रैकून-छि । शबवनौष्ठ arreires (48-Sw8) 8 Memoir of Dwarkanath Tagore by Kissory Chand Mittra (1870) ( as