পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

औदनटि 8ዔ6ነ যখন স্বেচ্ছাকৃত নহে তখন গুরুতর দপ্তভোগ করিতে হইবে না-বিশেষত রমণী যখন বিধানকী । কিন্তু উচ্চপদস্থ ভারতকর্মচারীর বিধবা শ্ৰী আমাকে বললেন, “এসে রুবি, এক পেয়ালা চা খাইবে।” আমি কোনোদিন চা খাই না। কিন্তু জঠয়ানাল নির্বাপণের পক্ষে পেয়ালা যৎকিঞ্চিৎ সাহায্য করতে পারে মনে করিয়া গোটা দুয়েক চক্রাকার বিষ্ণুটির সঙ্গে সেই কড়া ঢাগিালিয়া ফেললাম। বৈঠকখানাঘরে আসিয়া rDBS BDDuD BDB DBBDBBDB DBBB BDBD DDS DDD DBSDDD আমেরিকান এবং তিনি গৃহদ্বামিনীর যুৱক ভ্রাতু-পুত্রের সহিত বিবাহের পূর্বে পূর্বরাগের পাল উদযাপন করিতেছেন। ঘরের গৃহিণী বলিলেন, “এবার তবে নৃত্য শুরু করা যাক।” আমার নৃত্যের কোনো প্রয়োজন। ছিল না এবং শরীরমনের অবস্থাও নৃত্যের অনুকুল ছিলনা। কিন্তু অত্যন্ত ভালোমানুষ যাহারা জগতে তাহারা অসাধ্যসাধন করে। সেই কারণে যদিচ এই নৃত্যসভাটি সেই যুবকযুবতীর জন্যই আহ্বত, তথাপি দশঘণ্টা উপবাসের পর দুইখণ্ড বিস্কুট খাইয়া তিনকাল উত্তীর্ণ প্রাচীন রমণীদের সঙ্গে নৃত্য করিলাম। এইখনেই দুঃখের অবধি হইল না। নিমন্ত্রণকত্রী আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, ‘রুবি, আজ তুমিরক্রিযাপন করিবে কোথায়।” এ প্রশ্নের জন্য আমি একেবারেই প্রস্তুত ছিলাম না। আমি হতবুদ্ধি হইয়া যখন তাহার মুখের দিকে তাকাইয়া রহিলাম। তিনি কহিলেন, “রাত্রি দ্বিগ্রহরে এখানকার সরাই বন্ধ হইয়া যায়, অতএব আর বিলম্ব না করিয়া এখনই তোমার সেখানে যাওয়া কর্তব্য ।” সীেজন্যের একেবারে অভাব ছিল নাসরাই আমাকে নিজে খুঁজিয়া লইতে হয় নাই। লণ্ঠন ধরিয়া একজন ভৃত্য আমাকে সরাইয়ে পীেছাইয়া দিল । মনে করিলাম, হয়তো শাপে বর হইল- হয়তো এখানে আহারের ব্যবস্থা আছে। জিজ্ঞাসা করিলাম, আমিষ হউক, নিরামিষ হউক, তাজা হউক, বসি হউক, কিছু খাইতে পাইব কি। তাহারা কহিল, মদ্য যত DK BBBS BB BDSSBDB BDDB BDu DB BDS D BDBB D DD DDD DBD S কিন্তু তােহর জগৎজোড়া অন্ধেও তিনি সে রাত্রে আমাকে স্থান দিলেন না বেলেপাথরের মেজেওয়ালা ঘর ঠাণ্ড কনকন করিতেছে ; একটি পুরাতন খািট ও একটি জীর্ণ মুখ ধুইবার টেবিল ঘরের আসবাব । সকালবেলায় ইঙ্গভারতীয় বিধবাটি প্রাতরাশ খাইবার জন্য ডাকিয়া পঠাইলেন। ইংরেজি দস্তুরে যাহাকে ঠাণ্ডা খানা বলে তাহারই আয়োজন। অর্থাৎ গতরাত্রির ভোজের অবশেষ আজ ঠাণ্ডা অবস্থায় খাওয়া গেল । ইহারই অতি যৎসামান্য কিছু অংশ যদি উষ্ণ বা কবােঞ্চ আকারে কাল পাওয়া যাইত তাহা হইলে পৃথিবীতে কাহারও কোনো গুরুতর ক্ষতি হইত না- অথচ আমার নৃত্যটা ডাঙায়-তোলা কইমাছের নৃত্যের মতো এমন শোকাবহ হইতে পারিত না । আহারান্তে নিমন্ত্রণকরী কহিলেন, “যাহাকে গান শুনাইবার জন্য তোমাকে ডাকিয়াছি তিনি অসুস্থ, শয্যাগত ; তাহার শয়নগৃহের বাহিরে দাড়াইয়া তোমাকে গাহিতে হইবে।” সিঁড়ির উপর আমাকে দাড় করাইয়া দেওয়া হইল। রুদ্ধবারের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া গৃহিণী কহিলন, “ঐ ঘরে তিনি আছেন।” আমি সেই অদৃশ্য রহস্যের অভিমুখে দাঁড়াইয়া শোকের গান বেহাগরাগিণীতে গছিলাম, তাহার পর রাগিণীর অবস্থা কী হইল সে সংবাদ লোকমুখে বা সংবাদপত্রে জানিতে পাই নাই। লন্ডনে ফিরিয়া আসিয়া দুই-তিন দিন বিছানায় পড়িয়া নিরঙ্কুশ ভালোমানুষের প্রায়শ্চিত্ত করিলাম। ডাক্তারের মেয়েয়া কহিলেন, “দোহাই তোমায়, এই নিমন্ত্ৰণ ব্যাপারকে আমাদের দেশের আতিথ্যের নমুনা বলিয়া গ্রহণ করিয়ো না। এ তোমাদের ভারতবর্ষের নিমিকের গুণ।”