পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Ᏹ8 য়ৰীক্সে-রচনাবলী DDBBBS BB LLLLLzYLLB BO BBOLDL0LBBOBLL SLDBBB BBBLBBSDDB কিংবা অল্প-কোনো বুদ্ধিসাঞ্চ জিনিস মিলাইয়া দিতে পার তো দাও কিন্তু সেটা গীেশ । খেয়ানীেকায় পার হইবার সময় যদি মাছ ধরিয়া লইতে পাের তো সে তোমার বাহাদুরকিন্তু তাই বলিয়া খেয়ানীেক জেলেডিঙি নয়- খেয়ানীেকায় মাছ রপ্তানি হইতেছে না বলিয়া পাটুনিকে গালি দিলে অবিচার করা হয়। প্ৰতিধ্বনি কবিতাটা আমার অনেকদিনের লেখা- সেটা কাহারও চোখে পড়ে না। সুতরাং ত্যাহার জন্য কাহারও কাছে আজ আমাকে জবাবদিহি করতে হয় না। সেটা ভালোমন্দ যেমন হােক এ কথা জোর করিয়া বলিতে পারি, ইচ্ছা করিয়া পাঠকদের ধাঁধা লাগাইবার জন্য সে-কবিতাটা লেখা হয় নাই এবং কোনো গভীর তত্ত্বকথা ফাকি দিয়া কবিতায় বলিয়া লইবার প্রয়াসও তােহা নহে। আসল কথা হৃদয়ের মধ্যে যে-একটা ব্যাকুলতা জন্বিয়ছিল। সে নিজেকে প্রকাশ করিতে চাহিয়াছে। যাহার জন্য ব্যাকুলত তাহার আর-কোনো নাম খুজিয়া না পাইয়া তাহাকে বলিয়াছে প্ৰতিধ্বনি এবং কহিয়াছে ওগো প্ৰতিধ্বনি, বুঝি আমি তোরে ভালোবাসি, বুঝি আর কারেও বাসিনা। বিশ্বের কেন্দ্ৰন্থলে সে কোন গানের ধ্বনি জাগিতেছে- প্রিয়মুখ হইতে, বিশ্বের সমুদয় সুন্দর সামগ্ৰী হইতে প্ৰতিঘাত পাইয়া যাহার প্রতিব্বনি আমাদের হৃদয়ের ভিতরে গিয়া প্রবেশ করিতেছে । কোনো বস্তুকে নয় কিন্তু সেই প্ৰতিধ্বনিকেই বুঝি আমরা ভালোবাসি, কেননা ইহা যে দেখা গেছে, একদিন যাহার দিকে তাকাই নাই। আর-একদিন সেই একই বস্তু আমাদের সমন্ত মন ভুলইয়াছে। এতদিন জগৎকে কেবল বাহিরের দৃষ্টিতে দেখিয়া আসিয়াছি, এইজন্য র্তাহার একটা সমগ্র আনন্দরাপ দেখিতে পাই নাই। একদিন হঠাৎ আমার অন্তরের যেন একটা গভীর কেন্দ্ৰস্থল হইতে একটা আলোকরশ্মি মুক্ত হইয়া সমস্ত বিশ্বের উপর যখন ছড়াইয়া পড়িল তখন সেই জগৎকে আর কেবল ঘটনাপুঞ্জ ও বস্তুপুঞ্জ করিয়া দেখা গেল না, তাহাকে আগাগোড়া পরিপূর্ণ করিয়া দেখিলাম। ইহা হইতেই একটা অনুভূতি আমার মনের মধ্যে আসিয়াছিল যে, অন্তরের কোন একটি গভীরতম গুহা হইতে সুরের ধারা আসিয়া দেশে কালে ছড়াইয়া পড়িতেছে- এবং প্রতিধ্বনিরূপে সমন্ত দেশকাল হইতে প্রত্যাহত হইয়া সেইখানেই আনন্দস্রোতে ফিরিয়া যাইতেছে। সেই অসীমের দিকে ফেরার মুখের প্রতিধ্বনিই আমাদের মনকে সৌন্দর্যে ব্যাকুল করে । গুণী যখন পূর্ণ হৃদয়ের উৎস হইতে গান ছাড়িয়া দেন তখন সেই এক আনন্দ ; আবার যখন সেই গানের ধারা তাহারই হৃদয়ে ফিরিয়া যায়। তখন সে এক দ্বিগুণতর আনন্দ । বিশ্বকবির কাব্যগান যখন আনন্দময় হইয়া ঠাঁহারই চিত্তে ফিরিয়া যাইতেছে তখন সেইটেকে আমাদের চেতনার উপর দিয়া বহিয়া যাইতে দিলে আমরা জগতের পরম পরিণামটিকে যেন অনির্বাচনীয়রূপে জানিতে পারি। যেখানে আমাদের সেই উপলব্ধি সেইখানেই আমাদের শ্ৰীতি ; সেখানে আমাদেরও মন সেই অসীমের অভিমুখীন আনন্দম্রোতের টানে উতলা হইয়া সেই দিকে আপনাকে ছাড়িয়া দিতে চায়। সৌন্দর্যের ব্যাকুলতার ইহাই তাৎপৰ্য। যে সুর অসীম হইতে বাহির হইয়া সীমার দিকে আসিতেছে তাঁহাই সত্য, তাহাঁই মঙ্গল, তাহা নিয়মে ধাঁধা, আকারে নির্দিষ্ট ; তাহারই যে প্ৰতিধ্বনি সীমা হইতে অসীমের দিকে পুনশ্চ ফিরিয়া যাইতেছে তাহাঁই সৌন্দৰ্য, তাহাঁই আনন্দ | তাহাকে ধরাছোয়ার মধ্যে আনা অসম্ভব, তাই সে এমন করিয়া ঘরছাড়া করিয়া দেয়। প্রতিধ্বনি কবিতার মধ্যে আমার মনের এই অনুভূতিই রূপকে ও গানে ব্যক্ত হইবার চেষ্টা করিয়াছে। সে চেষ্টার ফলটি স্পষ্ট হইয়া উঠিবে এমন আশা করা যায় না, কারণ চেষ্টাটাই আপনাকে আপনি স্পষ্ট করিয়া জানিত না । আরো কিছু অধিক বয়সে প্রভাতসংগীত সম্বন্ধে একটা পত্র লিখিয়ছিলাম, সেটার এক অংশ এখানে ७प्रभूठ कवि “জগতে কেহ নাই সবাই প্ৰাণে মোর- ও একটা বয়সের বিশেষ অবস্থা। যখন হৃদয়টা সর্বপ্রথম জাগ্রত হয়ে দুই বাহ বাড়িয়ে দেয় তখন মনে করে, সে যেন সমন্ত জগৎটাকে চায়- যেমন নবোদগতদন্ত