পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

h0 বাড়িতে থাকে- প্রত্যেক পাককে হঠাৎ পৃথক বলিয়া জন্ম হয়। কিন্তু খুজিয়া দেখিলে দেখা যায় কেন্দ্রটা যখন সন্ধাসংগীত লিখিতেছিলাম তখন খণ্ড খণ্ড গণ্য বিবিধ প্রসঙ্গ নামে বহির হইতেছিল। আর প্রভাতসংগীত যখন লিখিতেছিলাম কিংবা তাহার কিছু পর হইতে ঐরােপ গদ্য লেখাগুলি আলোচনা” নামক গ্রন্থে সংগৃহীত হইয়া ছাপা হইয়াছিল। এই দুই গদ্যগ্রন্থে যে প্রভেদ ঘাঁটিয়াছে তাহা পড়িয়া দেখিলেই লেখকের চিত্তের গতি নির্ণয় করা কঠিন হয় না।’ এই সময়ে বাংলার সাহিত্যিকগণকে একত্ৰ করিয়া একটি পরিষৎ’ স্থাপন করিবার কল্পনা জ্যোতিদাদার মনে উদিত হইয়াছিল। বাংলার পরিভাষা বঁধিয়া দেওয়া ও সাধারণত সর্বপ্রকার উপায়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের পুষ্টিসাধন এই সভার উদ্দেশ্য ছিল। বর্তমান সাহিত্যপরিষৎ" যে উদ্দেশ্য লইয়া আবির্ভূত হইয়াছে তাহার সঙ্গে সেই সংকল্পিত সভার প্রায় কোনো অনৈক্য ছিল না। রাজেন্দ্রলাল মিত্ৰ মহাশয় উৎসাহের সহিত এই প্রস্তাবটি গ্রহণ করিলেন। তঁহকেই এই সভায় সভাপতি করা হইয়াছিল। যখন বিদ্যাসাগর মহাশয়কে এই সভায় আহবান করিবার জন্য গোলাম, তখন সভার উদ্দেশ্য ও সভ্যদের নাম শুনিয়া তিনি বলিলেন, “আমি পরামর্শ দিতেছি, আমাদের মতো লোককে পরিত্যাগ করে- “হেমিয়াচোমরা দেয় লইয়া কোনো কাজ হুইবে না, কাহারও সঙ্গে কাহারও মত মিলিবে না।” এই বলিয়া তিনি এ সভায় যোগ দিতে রাজি হইলেননা। বঙ্কিমবাবু সভ্য হইয়াছিলেন, কিন্তর্তাহাকে সভার কাজে যে পাওয়া গিয়াছিল। তাহ বলিতে পারি না । বলিতে গেলে যে কয়দিন সভা বঁচিয়া ছিল, সমান্ত কাজ এক রাজেন্দ্রলাল মিত্ৰই করিতেন। ভৌগোলিক পরিভাষানির্ণয়েই আমরা প্ৰথম হন্তক্ষেপ করিয়ছিলাম। পরিভাষার প্রথম খসড়া সমতট রাজেন্দ্রলালই ঠিক করিয়া দিয়াছিলেন । সেটি ছাপাইয়া অন্যান্য সভ্যদের আলোচনার জন্য সকলের হাতে বিতরণ করা হইয়াছিল। পৃথিবীর সমন্ত দেশের নামগুলি সেই সেই দেশে প্রচলিত উচ্চারণ অনুসারে লিপিবদ্ধ করিবার সংকল্পও আমাদের ছিল । বিদ্যাসাগরের কথা ফলিল- হােমরাচেমিয়াদের একত্র করিয়া কোনো কাজে লাগানো সম্ভবপর হইল। না । সভা একটুখানি অঙ্কুরিত হইয়াই শুকাইয়া গেল। কিন্তু রাজেন্দ্রলাল মিত্ৰ সব্যসাচী ছিলেন। তিনি একই একটি সভা। এই উপলক্ষে ঠােহর সহিত পরিচিত হইয়া আমি বন্য হইয়ছিলাম। y arri, (?) sffêr vive i Ny-GRRM-ve ২ “সদরীটে বাসের সঙ্গে আমার আর-একটা কথা মনে আসে। এই সময়ে বিজ্ঞান পঢ়িবার জন্য আমার অত্যন্ত একটা আগ্রহ উপস্থিত হইয়ছিল। তখন হকসলির রচনা হইতে জীবতত্ত্ব ও লাইয়ার নিউকোষ প্রভৃতির গ্রন্থ হইতে জ্যোতির্বিদ্যা নিবিষ্টচিত্ত্বে পাঠ করিতাম। জীবতত্ত্ব ও জ্যেতিক্তত্ব আমার কাছে অত্যন্ত উপাদেয় বোধ হইতাপাণ্ডুলিপি। e “Mirre Farruf, ar Vasa, s Ryn yr "freel inful, write, Yve S DDDuSOBDTTDBS sLL LBL 00L . . e GNUM SITCoronwy ffîa (Swiss-89) "cers ferr (), so