পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। औरनबूटेि O একটা আসন পাইয়াৰি-কিন্তু সে-আসনটািকিরাপ ও কোনখানে পড়িবেতাহ ঠিকমত স্থির হইতেছিলনা ; ক্ৰমে ক্ৰমে যে একটু খ্যাতি পাইতেছিলাম তাহার মধ্যে যথেষ্ট দ্বিধা ও অনেকটা পরিমাণে অবজ্ঞা জড়িত হইয়া ছিল ; তখনকার দিনে আমাদের লেখকদের একটা করিয়াবিলাতি ডাকনাম ছিল, কেহ ছিলেন বাংলার বায়রন, কেহ এমার্সন, কেহ আর কিছু ; আমাকে তখন কেহ কেহ শেলি বলিয়া ডাকিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন- সেটা শেলির পক্ষে অপমান এবং আমার পক্ষে উপহাসম্বরূপ ছিল ; তখন আমি কলভিাষার কবি বলিয়া উপাধি পাইয়াছি ; তখন বিদ্যাও ছিল না, জীবনের অভিজ্ঞতাও ছিল অল্প, তাই গদ্য পদ্য যাহা লিখিতাম তাহার মধ্যে বস্তু যেটুকু ছিল ভাবুকতা ছিল তাহার চেয়ে বেশি, সুতরাং তাঁহাকে ভালো বলিতে গেলেও জোর দিয়া প্রশংসা করা যাইত না। তখন আমার বেশভূষা ব্যবহারেও সেই অৰ্ধকূটতার পরিচয় যথেষ্ট ছিল ; চুল ছিল বড়ো বড়ো এবং ভাবগতিকেও কবিন্ধের একটা তুরীয় রকমের শৌখিনতা প্রকাশ পাইত ; অত্যন্তই খাপছাড়া হইয়াছিলাম, বেশ সহজ মানুষের প্রশান্ত প্রচলিত আচার-আচরণের মধ্যে গিয়া পৌঁছিয়া সকলের সঙ্গে সুসংগত হইয়া উঠিতে পারি নাই। এই সময়ে অক্ষয় সরকার মহাশয় নবজীবন’। মাসিকপত্র বাহির করিয়াছেন- আমিও তাহতে দুটা-একটা লেখা দিয়াহি। i বঙ্কিমবাবু তখন বঙ্গদর্শনের পালা শেষ করিয়া ধর্মালোচনায় প্রবৃত্ত হইয়াছেন। প্রচার বাহির হইতেছে। আমিও তখন প্রচার-এ একটি গান” ও কোনো বৈকবি-পদ অবলম্বন করিয়া একটি গদ্য-ভাবোম্স প্রকাশ করিয়াছি । এই সময়ে কিংবা ইহারই কিছু পূর্ব হইতে আমি বঙ্কিমবাবুর কাছে আবার একবার সাহস করিয়া যাতায়াত করিতে আরম্ভ করিয়াছি, তখন তিনি ভবানীচরণ দত্তরাষ্ট্ৰীট বাস করিতেন। বঙ্কিমবাবুর কাছে যাইতাম বােট কিন্তু বেশি কিছু কথাবার্তা হইত না। আমার তখন শুনিবার বয়স, কথা বলিবার বয়স নহে। ইচ্ছা করিত আলাপ জমিয়া উঠুক, কিন্তু সংকোচ কথা সারিত না। এক-একদিন দেখিতাম সমীকবাবু তাকিয়া অধিকার করিয়া গড়াইতেছেন। তঁহাকে দেখিলে বড়ো খুশি হইতাম । তিনি আলাপী লোক ছিলেন। গল্প করায় তাহার আনন্দ ছিল এবং ঠাহীর মুখে গল্প শুনিতেও আনন্দ হইত। যাহারা তাহার প্রবন্ধ পড়িয়াছেন তাহারা নিশ্চয়ই ইহা লক্ষ্য করিয়াছেন যে, সে-লেখাগুলি কথা কহার অজস্র আনন্দবেগেই লিখিত-ছাপার অক্ষরে আসার জমাইয়া যাওয়া ; এই ক্ষমতাটি অতি অল্প লোকেরই আছে, তাহার পরে সেই মুখে বলার ক্ষমতাটিকে লেখার মধ্যেও তেমনি অবাধে প্ৰকাশ করিবার শক্তি আরো কম লোকের দেখিতে পাওয়া যায় । এই সময়ে কলিকাতায় শশধর তর্কচূড়ামণি মহাশয়ের অভ্যুদয় ঘটে।” বঙ্কিমবাবুর মুখেই তাহার কথা প্রথম শুনিলাম। আমার মনে হইতেছে, প্রথমটা বঙ্কিমবাবুই সাধারণের কাছে তাহার পরিচয়ের সূত্রপাত S K R SSS ২ বৈষ্ণব কবির গান (কীৰ্তিক ১২৯১), রাজপথের কথা (অগ্রহায়ণ ১২৯১), ভানুসিংহ ঠাকুরের জীবনী (শ্রাবণ S Ras) . ৩ প্ৰকাশ, শ্রাবণ ১২৯১, মাসিকপত্র, সম্পাদক বঙ্কিমচন্ত্রের জামাতা রাখালচন্দ্র বন্ধ্যোপাধ্যায় । ৪ মথুরায় (মাঘ ১২৯১)। ত্ৰ কড়ি ও কোমল ৫ দ্র। বৈষ্ণব কবির গান, রবীন্দ্র রচনাবলীঅ ২। বস্তুত ইহা নবজীবন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। . LuYSDg SDD DuDuSSDBuL DSSLt SLDDBDDLB BDDS DBESL LHBt BDDB D BuBDBB হইয়াছিল। স্ত্ৰ কড়ি ও কোমল ৬ ইং ১৮৮২ সালে “বডিমের বাসা কলিকাতায় বউবাজার ট্রট ছিল, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মধ্যে মধ্যে রবীন্দ্রনাথ এই সময়ে বক্রিমের নিকট যাতায়াত করতেন। ১৮৮২ খৃস্টাব্দের ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথ আসিয়া তঁহাদের জোড়ার্সাকোয় বাটীতে বঙ্কিমকে লইয়া যান। সেই দিন। ১১ই মাৰ ছিল- চরিতমালা ২২ A 7 RD 5MMR (Yves-v»), fabri Varauf ৮ বাংলা ? ১২৯১ । স্ত্ৰ ‘পিতাপুত্ৰ, বঙ্গ-ভাষার লেখক, পৃ. ৬৪৫-৪৬